বনি ইসরাইলের ঘটনা pdf | Boni Israil ghotona pdf Bangla

5/5 - (1 vote)

বনি ইসরাইলের ঘটনা pdf | Boni Israil ghotona pdf Bangla | কুরআন-হাদীসের আলোকে ইসরাইল pdf | ইসরাইলের উত্থান-পতন pdf | আরব বিশ্বে ইস্রাঈলের আগ্রাসী নীল নকশা pdf | অভিশপ্ত ইহুদি জাতির ইতিহাস pdf | Google drive pdf

বনি ইসরাইলের ঘটনা pdf | Boni Israil ghotona pdf Bangla

বনি ইসরাইলের ঘটনা pdf download

Old Testament ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ। ধর্ম প্রচারক হলেন মুসা (আ.)। ইহুদিরা তাকে ডাকেন মোসি বা মোজেস বা মেসায়া। মূলত মুসা (আ.)-এর অনুসারী থেকেই ইহুদি জাতির জন্ম। আর ইয়াকুব (আ.)-এর নাম থেকে ইসরাইল শব্দটি নিয়ে আজকের ভূমির নামকরণ করা হয়েছে।

ইহুদিরা কথা বলত হিব্রু ভাষায় সেই অর্থে ইহুদিদের আরেক নাম হিব্রু। ইহুদিদের ধর্মীয় প্রতীক এবং ভাষার ইতিহাস পাওয়া যায় বাইবেলের আদি খণ্ডে। Old Testament-কে হিব্রু বাইবেল বা হিব্রু টেস্টামেন্ট (Hebrew Testament) বলা হয়। ইহুদি ধর্মের উপসনালয় হলো সিনাগগ (Synagogues)। একে ইহুদিরা একই সাথে ধর্মীয় উপাসনালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের উপাসনালয়ের ধর্মসভায় (Congregation) প্রার্থনা পরিচালনা করেন গোত্রপ্রধান (Cantor)। এলাকাভিত্তিক ইহুদি গোত্রপ্রধানকে বলা হয় রাব্বি। তিনি স্থানীয় ধর্মসভায় জনগণ দ্বারা নির্বাচিত।

আমরা জানি, আল্লাহ মুসা (আ.)-কে তাওরাত নামক ধর্মগ্রন্থ দান করেন। তাওরাত, হিব্রু বাইবেল, Old Testament একই সূত্রে গাঁথা ৷

আরও পড়ুনঃ—

বনি ইসরাইলের ঘটনা নিয়ে কয়টি বইয়ের পিডিএফ লিংক অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হলো ৷ বইগুলো খুব ভালো মানের ৷ সামর্থ থাকলে বইগুলোর হার্ডকপি সংগ্রহ করতে ভুলবেন না ৷ নিজে পড়ুন এবং অন্যকে ঘটনাগুলো জানার জন্য শেয়ার করতে ভুলবেন না ৷

1. কুরআন-হাদীসের আলোকে ইসরাইল PDF

  • বইঃ কুরআন-হাদীসের আলোকে ইসরাইল ৷
  • লেখকঃ হাকীমুল ইসলাম কারী মুহাম্মদ তৈয়ব রহ.
  • অনুবাদকঃ মাওলানা হাবীবুর রহমান ৷
  • প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আখতার ৷

বস্তুত ইয়াহুদীরা হযরত মুসা আলাইহিস সালামের ধর্মানুসারী এক সম্প্রদায়। বনী ইসরাইলে ইয়াহুদী ছিলেন একজন প্রভাবশালী গোত্রপ্রধান যবুরের বর্ণনানুসারে তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস কেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার শীর্ষ নেতৃত্বের পদেও সমাসীন ছিলেন। তার উত্তর-পুরুষরাই ইয়াহুদী নামে খ্যাত। হযরত মুসা (আ.)-এর ধর্মানুসারী হওয়ার দাবীদার হলেও পরবর্তীকালে ইয়াহুদীরা ধূর্তামী ও কূট-ষড়যন্ত্রে পৃথিবীর সকল সম্প্রদায়কে অতিক্রম করে যায় এবং এক জঘন্য ও ধিকৃত সম্প্রদায় হিসাবে খ্যাত হয়ে পড়ে।

ধোঁকা, প্রতারণা অন্যায় ও অপকর্মের এমন কোন দিক ছিল না যাতে তারা সিদ্ধহস্ত ছিল না। শোষণ ও মানুষকে নির্যাতনের নাম দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির ব্যাপারেও তারা ছিল সকলের শীর্ষে। নৈতিক অধঃপতন ও চারিত্রিক হীনতার কারণে তারা গোটা মানব সম্প্রদায়ের নিকট ছিল ঘৃণিত ও ধিকৃত । আর আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন ও আল্লাহর নাফরমানির কারণে এ জাতি ছিল আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত ।

ডাউনলোড করুন,, কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইসরাইল পিডিএফ

2. ইসরাইলের উত্থান-পতন PDF

  • বইঃ ইসরাইলের উত্থান-পতন ৷ ইহুদী জাতির ইতিহাস-২ (শেষ খণ্ড)
  • লেখকঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ ৷
  • প্রকাশকঃ ছায়াবীথি ৷

ইব্রাহিম (আ)-এর প্রধান দুই পুত্র ইসমাইল (আ) আর ইসহাক (আ)। ভাগ্যক্রমে, ইসমাইল (আ) ও তার মা হাজেরাকে আরবের মক্কায় নির্বাসনে পাঠানো হয়। আর ওদিকে কেনান দেশে রয়ে যান ইসহাক (আ), যাকে ইংরেজিতে ডাকা হয় ‘আইজ্যাক’। তার পুত্র ছিলেন ইয়াকুব (আ), অর্থাৎ

‘জ্যাকব’। ইয়াকুব (আ)-এর আরেক নাম ছিল ‘ইসরাইল, তার বারো সন্তানের নামে ইসরাইলের বারো গোত্রের নাম হয়।

ঘটনাক্রমে বারো পুত্রের একজন ইউসুফ (আ) ভাইদের চক্রান্তে মিসরে উপনীত হন দাস হিসেবে। জেলের ভাত খেয়ে সাত বছর পর ভাগ্যের চাকা ঘুরে নিজেকে মিসরকর্তার ডান হাত হিসেবে আবিষ্কার করেন তিনি, এবং একইসাথে হন নবী। দুর্ভিক্ষপীড়িত অন্য ভাইয়েরা তখন তার কাছে সাহায্য চাইতে মিসরে আসে। তারা তখনও জানতো না, ইনিই তাদের মৃত বলে ধরে নেয়া সেই ভাই ইউসুফ (আ), বা ‘জোসেফ’। ইউসুফ (আ) তাদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং পুরো পরিবারকে নিয়ে আসেন মিসরে।

কালের পরিক্রমায় শত শত বছর বাদে এই ইসরাইলিরা মিসরের শাসনকর্তা অর্থাৎ ফারাওয়ের দাসে পরিণত হয়। তাদেরকে ‘হিব্রু’ জাতি বলে ডাকতো স্থানীয় মিসরীয়রা। একদিন ফারাওয়ের ঘরে পালিত হওয়া এক মিসরীয় যুবরাজ রাজপরিবারের সমস্ত আয়েশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহু বছর বাদে নির্যাতিত ইহুদীদের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি আর কেউ নন, নবী হযরত মূসা (আ)। ইসরাইল জাতিকে লোহিত সাগর পার করে তিনি নিয়ে যান ওপারে, ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করে।

নবী মূসা (আ) পেলেন আসমানি কিতাব তাওরাত। কিন্তু তখন একেশ্বরবাদী ইহুদীরা পৌত্তলিকতায় মগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে আল্লাহ ৪০ বছর শাস্তি দেন তাদেরকে। মরুর বুকে ঘুরপাক খেতে থাকে তারা। অবশেষে নবী ইউশা (আ)- এর নেতৃত্বে তারা কেনান দেশে উপনীত হয়। এবার তাদের কেনান জয়ের পালা।

এখানে এসে আমরা বুঝতে পারি, কেনান দেশের আদি নাগরিক কারা ছিল। আমরা যাদেরকে আজ ফিলিস্তিনি বলি, বলা চলে তারাই। ফিলিস্তিনিরা এখানে আসে ইসরাইলিরা আসার কিছুটা আগে, খ্রিস্টপূর্ব ১২ শতকে। ফিলিস্তিনিরা মূলত ইজিয়ান ( Aegean ) অরিজিনের, অর্থাৎ ভূমধ্যসাগরের যে অংশ গ্রিস ও তুরস্কের মাঝে, সে এলাকার। তারা এসেছিল কাফতর থেকে। তার আগে এখানে ছিল হিভাইট, জেবুসাইট, এমরাইট, হিট্টাইট, পেরিসাইট-এরা। ফিলিস্তিনিরা পৌত্তলিক ছিল; তারা বা’ল, আশেরা ইত্যাদি দেব-দেবীর পূজা করত।

ইসরাইলিরা যখন কেনান দেশে থাকত, তখন তারা স্থানীয়দের বিয়ে করে। ফলে পরবর্তী বংশধর এমনভাবে বাড়তে থাকে যে, ৮৭.৫%-ই হলো কেনানীয় রক্ত। আর ফিলিস্তিনিরা নিজেদের কেনানীদের বংশধর বলেই জানে। তাই জিনগতভাবে তারা আসলে প্রায় একই। কেবল ধর্মবিশ্বাসে ছিল আলাদা। ইসরাইলিরা যেখানে উপাসনা করত এক ঈশ্বরের, সেখানে ফিলিস্তিনিরা ছিল পৌত্তলিক।

ইসরাইলের ইতিহাস বিষয়ক আরো কিছু বই পিডিএফঃ—

  1. আরব বিশ্বে ইসরাইলের আগ্রাসী নীল নকশা পিডিএফ
  2. অভিশপ্ত ইহুদী জাতির বেঈমানীর ইতিহাস পিডিএফ
  3. সূরা বনী ইসরাঈল পিডিএফ