উদ্যোক্তা ও ১০১ বিজনেস আইডিয়া pdf download

1/5 - (1 vote)

আবদুল হাকিম নাহিদ এর বই উদ্যোক্তা ও ১০১ বিজনেস আইডিয়া pdf download

উদ্যোক্তা ও ১০১ বিজনেস আইডিয়া যখন আপনি নিজেই অন্যকে চাকুরী দিতে পারবেন তখন আপনি কেন চাকুরী করতে চাইবেন ? কেন অযথা সিভি নিয়ে ঘুরবেন , যদি নিজেই সিভি দেখে নিয়ােগ দেয়ার যােগ্যতা রাখেন । কোথাও চাকরি করা আর নিজে কোনাে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে সবাইকে চাকরি দেওয়া দুটো অর্জনের মাঝে বিশেষ কোনাে পার্থক্য নেই । শুধু প্রয়ােজন একটা গাইডলাইন , প্রয়ােজন সেই আইডিয়ার যেটাকে কেন্দ্র করে ঘুরে যেতে পারে আপনার জীবনের মােড় । আমরা ইনােভেটিভ প্রজন্ম । কিন্তু মাঝে মাঝে সমস্যা হয়ে যায় শক্তি , সামর্থ্য , ইচ্ছা থাকার পরও শুধু একটা ভালাে আইডিয়ার অভাবে । সামনে আর এগােনাে যায় না । পত্রিকা , ম্যাগাজিন বা অনলাইনে যেসব সফল হওয়া ব্যক্তিদের জীবনী পড়েন তাদের সাথে আপনার বিশাল কোনাে পার্থক্য নেই ? পার্থক্য একটা জায়গায়- সেটা হলাে আইডিয়া । কিন্তু কে দিবে আপনাকে সেই আইডিয়া ? সেই আইডিয়া নিয়ে এসেছে ‘ উদ্যোক্তা ও ১০১ বিজনেস আইডিয়া ‘ নামক বইটি । চলুন বইটি পড়া যাক …pdf download

সূচিপত্র 

  • আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প
  • এই বইটি কেন পড়বেন ?
  • কারা পড়বেন ?
  • ব্যবসা শুরু করবেন কীভাবে ?
  • শুরু থেকে শুরু
  • ব্যবসা শুরু করার আইনি উপায়
  • চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার পরামর্শ
  • আসুন বিনিয়ােগকারী খুঁজি
  • আইডিয়া যেভাবে উপস্থাপন করবেন
  • ব্যাংক ঋণ পাবার উপায় !
  • মার্কেটিং বদলে গেছে ,
  • আপনার প্রতিষ্ঠানের কী খবর
  • অবসরে উদ্যোক্তার করণীয় ১০ কাজ
  • খারাপ অভ্যাস , বাদ দিন এখনই
  • নতুন আইডিয়া পাওয়ার ৫ টি উপায়
  • বিজনেস আইডিয়া যেখানে দেখিবে ছাই ,
  • কুড়াইয়া লইবে তাই
  • আইডিয়া বাজার ,
  • আপনার আইডিয়া খুঁজে নিন
  • বিখ্যাত মুভি ,
  • যা দেখে উদ্যোক্তারা অনুপ্রেরণা পাবেন
  • বিশ্বসেরা তিনজন ব্যবসায়ীর উক্তি বদলে দিতে পারে জীবন
  • আজকে যারা বিখ্যাত ,
  • একদিন তারাও ছিল অখ্যাত
  • পড়ুন , শিখুন এবং সিদ্ধান্ত নিন
  • কিছু কথা- যা আপনার ব্যথা দূর করবে
  • আমার দেখা একটি মুভি ও একটি বইয়ের গল্প 

আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প লিখেছেন : সত্যজিৎ চক্রবর্তী

একজন উদ্যোগীর উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প । সদ্য স্নাতক পাশ করা একজন যুবকের স্বপ্ন কী হতে পারে ? কেউ বা সাধারণ জ্ঞানের এমপি থ্রি বই কিনে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেয় , কেউ বা বিভিন্ন দেশ , মুদ্রা এসব মুখস্থ করে । আবার কেউ বা দু’পৃষ্ঠার সিভি বানিয়ে এদিক সেদিক ঘুরতে থাকে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির জন্য । হ্যাঁ , এসব খুব পরিচিত দৃশ্য ! এমনই তাে হওয়ার কথা । কিন্তু কেউ কেউ নিয়মের বাইরেও নিয়ম তৈরি করেন । একই পথে যাত্রা শুরু করেও ভিন্ন পথে গন্তব্য তৈরি করেন । কিন্তু তারা কারা ? তারা আর কেউ নন । আমাদের সমাজে যাদের আমরা উদাহরণ হিসেবে দেখাই এরা তারাই । যখন অনেক গ্র্যাজুয়েট ছেলে মেয়ে একটা চাকরির জন্য হন্য হয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন কেউ কেউ চাকরি না করে বরং চাকরি দেয়ার স্বপ্ন বুনেন । এ যেনাে মার্বেল সমান দুটো চোখে আকাশ সমান স্বপ্ন দেখা । তেমনি এক মেরুকরণ সৃষ্টি করা । ব্যক্তির নাম আবদুল হাকিম নাহিদ । তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন । তাঁর সাথে যারা এই ডিগ্রি নিয়েছেন , তারা সবাই যখন সাদা শার্ট আর কালাে কোট পরে কোর্টে যাওয়ার স্বপ্নে মশগুল তখন এই আবদুল হাকিম নাহিদ প্রেস ক্লাবের সামনে হাঁটতে হাঁটতে ভাবছেন কী করা যায় নতুন কিছু । এভাবে পার হয়ে যাচ্ছে । গােটা কয়েক বছর । তাঁর বন্ধুরা অধিকাংশই এখন কালাে গাউন পরা একেকজন আইনজীবী , কেউবা প্রস্তুতি নিচ্ছেন জুডিশিয়ারি পরীক্ষা দিয়ে বিচারক হওয়ার । কিন্তু এসব কোনাে কিছুই যেন তাকে কাছে টানে না । চাইলে খুব ভালাে আইনজীবী হতে পারতেন । কারণ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে খুব ভালাে বিতার্কিক ছিলেন । আর বিতার্কিকদের জন্য আইনজীবী পেশাটা বেছে নেওয়া নি : সন্দেহে বুদ্ধিমানের কাজ । কিন্তু তিনি তা করলেন না । চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় প্রেসের খট খট শব্দ তাকে হঠাৎ করেই যেন মুগ্ধ করে ফেলল । ছাপার কাগজের ঘ্রাণ তাকে কাছে টেনে নিচ্ছিল । লিখে ফেললেন গল্পের বই “ আলাের মিছিল ” । কতটা আলাের মুখ দেখেছে তা জানি না , তবে এই আলাের মিছিল একটা যুবকের জীবনের অন্ধকারে হঠাৎ করেই যেন আলােকচ্ছটা এনে দিয়েছিলাে । তিনি পেয়ে গেলেন তাঁর ক্যারিয়ারের স্বপ্ন । তাকে এই লেখালেখির পথকেই বেছে নিতে হবে । কিন্তু কিভাবে কী হবে ! না আছে অভিজ্ঞতা , না আছে পরিচিতি । প্রেস ক্লাবের সামনে পথ চলতে চলতে

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার পরামর্শ

কবি বলেছেন- স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হেচাকরির পাশাপাশি ব্যবসার পরামর্শ , কে বাঁচিতে চায় । সত্যি তাে , আমরা সবাই স্বাধীনতা পছন্দ করি । ঘরে – বাইরে , অফিস – আদালতে চায় , নিজের মতাে করে সবকিছু হােক । শুধু দেশ বা রাষ্ট্র স্বাধীন হলে হবে না , ব্যক্তি স্বাধীনতা , ব্যক্তির কাজ করার স্বাধীনতা এমনকি খরচপাতি করার স্বাধীনতা সবাই চায় । কিন্তু এ স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে । আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু কেউ মরতে চাই না । চাকরির চেয়ে উদ্যোক্তার স্বাধীনতা প্রচুর । নিজের মনের মতাে কাজ করা যায় , নিজের লভ্যাংশ দিয়ে খরচও করা যায় । কিন্তু আমরা এমন ক’জন আছি , যারা ধৈর্য ধরতে চায় , আমরা তাৎক্ষণিক সফলতা চায় আর এ সফলতার জন্য দরকার অনেক পরিশ্রম ও ধৈর্য । আর এমনভাবে দিনের পর দিন , পরিশ্রম করে সফলতার জন্য একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না । খুব সহজ করে বলি- আমাদের স্বাধীনতার জন্য ২৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে । তার মধ্যে নয় মাস অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে । আর সেই দেশের মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না , এটা আমি বিশ্বাস করি না । অনেকে সরকারী চাকরির পিছনে ছুটে বয়স শেষ করে ফেলেন তবুও চাকরি আর চাকরি করে গলা ফাটান । আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা খুবই নাজুক । নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলি- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ছয়মাস পর থেকে আমার পরিবার সবসময় ফোন করে জিজ্ঞাসা করতাে আর কয়দিন লাগবে । আর কয়দিন লাগবে- এর অর্থ হচ্ছে আমি কখন পরিবারের দায়িত্ব নেবাে । কখন পরিবার কে টাকা পয়সা দেবাে । এরকম সবাইকে বলে , একজন নিম্নবিত্ত , নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মাত্রই জানে ; অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বাড়ি থেকে কখন কী কারণে ফোন আসে । সে ভাবনায় সবার পক্ষে ব্যবসা করার জন্য অপেক্ষা / ধৈর্য ধারণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না । তাই উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অগত্যা চাকরি শুরু করেন । আমি তাদের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানাই । সাত পাঁচ না ভেবে উদ্যোক্তা না হওয়ার চেয়ে , চাকরি করে

আসুন বিনিয়ােগকারী খুঁজি

মাইক্রোসফট , ফেসবুক , গুগল এসব কোম্পানিগুলাে কিন্তু ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাট পেরুনাে এবং না পেরুনাে তরুণদের উদ্যোগেরই ফসল । আমাদের দেশেও এমন অসংখ্য উদ্যোক্তা আছে এবং তৈরি হচ্ছে যারা নিজের ভাগ্যের সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট জনগােষ্ঠীর ভাগ্য বদলানাের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির চোখ ধাঁধানাে লাইফস্টাইল বা নতুন কিছু শুরু করার সিদ্ধান্তহীনতাই স্টার্টআপের বিষয়টিকে অনেকাংশে মানসিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে তােলে । বস্তুত আমাদের একেকজনের চাহিদা কিংবা অবস্থা একেক রকম । হয়তােবা সে কারণেই আমরা বিভিন্ন রকম সিস্টেমের আওতাধীন হয়ে পড়ি এবং আমাদের চিন্তাধারাও সেভাবে চালিত হতে থাকে । হলফ করে বলা যায় , এখানে যারা টিকে থাকতে পারে তারাই মূলত সফল । আপনার একনিষ্ঠ পরিশ্রম হছে আপনার একমাত্র পুঁজি একটা বিষয় মনে রাখবেন অবশ্যই , আপনার একনিষ্ঠ পরিশ্রম হছে আপনার একমাত্র পুঁজি এবং এই পরিশ্রমই আপনার মাধ্যমে স্টার্টআপ সফল করার আসল হাতিয়ারে রূপ নেবে । হয়তাে বা কে জানে , এর মাধ্যমেই ঘুরে যেতে পারে আপনার বাধাধরা জীবনের মােড় । একটু ভেবে দেখুন , আপনার নিজের প্রতিষ্ঠানে আপনার পছন্দের কাজ করার সুযােগ , সাথে বােনাস হিসেবে অর্থ উপার্জনের সৎ উপায় তাে রয়েছেই । আর জীবনের এতাে সব চাহিদা পূরণ হতে পারে আপনার কর্মজীবনের শুরুতে পরীক্ষামূলক কিছু ঝুঁকি নেয়ার মাধ্যমে । প্রথমে আসা যাক মূলধনের ব্যাপারে । একজন নতুন উদ্যোক্তার ব্যবসা শুরু করতে সবার আগে প্রয়ােজন হয় মূলধনের । বেশির ভাগ সময় তাই উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি থাকে বিনিয়ােগকারী খুঁজে বের করার দিকে । নতুনদের ক্ষেত্রে যেটা হয় , তারা কোনােরকমে একজন বিনিয়ােগকারী পেলেই মূলধন গুছিয়ে নিয়ে নেমে পড়ে ব্যবসায়িক দুনিয়ার কঠিন এক ইদুরদৌড়ে । আপনিও ভাবতে পারেন , আপনার ব্যবসায়িক উদ্যোগে সম্ভাবনা অনেক , সুতরাং একজন বিনিয়ােগকারীকে প্রভাবিত করলেই আপনি দরকারি টাকা পেয়ে যাচ্ছেন । তাহলে তাে আর কোনাে সমস্যাই নেই । আপনি নিশ্চিত তাে আসলেই কি সমস্যা নেই ১৭৭৬ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সহ – প্রতিষ্ঠাতা Donna Harris এর মতে , “ সবচাইতে দক্ষ বিনিয়ােগকারী তিনি , যিনি আপনাকে কখনােই এই প্রশ্ন করবেন না যে সবচেয়ে কত কম খরচে আপনার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারবেন । তার প্রশ্ন হবে “ এখানে সম্ভাবনা কেমন , আর সেটা পূরণ হবে কীভাবে ” অর্থাৎ আপনার জন্য টাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একজন অভিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ বিনিয়ােগকারী । একজন আদর্শ বিনিয়ােগকারী খুঁজে বের করার জন্যে আপনি নিন্মােক্ত এই চারটি প্রাথমিক পরামর্শ কাজে লাগাতে পারেন । বেশি যােগাযােগ , বেশি অভিজ্ঞতা আর বেশি তহবিল- তিনটিই আপনার প্রয়ােজন । বিভিন্ন বিনিয়ােগকারীর কাছে আপনি বিভিন্ন রকম সহায়তা পেতে পারেন । তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার প্রয়ােজন হবে তাদেরকে , প্রযুক্তি বিশ্বে যাদেরকে ব্যবসায়িক পরিভাষায় দায়িত্ব ও শর্ত ভেদে এঞ্জেল ইনভেস্টর ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টর বলা হয় । তাদের কাছ থেকে আপনি প্রচুর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন , কিন্তু ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিষয়ে তেমন সহায়তা না ও পেতে পারেন । মনে রাখবেন , একজন ইনভেস্টর একটি চলমান চেকবইয়ের মতাে । আপনার যখন টাকা লাগবে , টুক করে চেকে টাকার পরিমাণটা লিখে আপনাকে ছিড়ে দিয়ে দেবে কোনাে প্রকার সংকোচ চাড়াই । তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না , আপনাকে দেখে আপনার বিনিয়ােগকারীরা ভয়ে চেকবই লুকিয়ে রাখতে পারে । সরাসরি বলা যায় , মনে রাখবেন , বিনিয়ােগকারীরা ব্যবসা – সংক্রান্ত যেকোনাে ব্যাপারে পুরােপুরি সচেতন এবং সেটি আপনার থেকেও দুই ডিগ্রি উপরে । যখন সে আপনাকে টাকা দিচ্ছে তখন সে বুঝেই দিচ্ছে , এতে কেমন পরিমাণ আয় কিংবা ব্যয় হবে । উপযুক্ত বিনিয়ােগকারী খুঁজে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , যখন আপনি আপনার দৃষ্টিসীমা জানবেন । তবে আপনার এটাও জেনে নেওয়া দরকার যে , আপনি কীভাবে যােগাযোেগ বজায় রাখবেন । এঞ্জেল ইনভেস্টরদের কাছে থাকে উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে ব্যাপক পরিমাণ তথ্যাদি থাকে । প্রাথমিক পর্যায়ে অসাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতিই একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় । আপনাকে জেনে নিতে হবে ।

Pdf download. pdf download

Pdf download Coming soon…….

রকমারি থেকে বইটি ক্রয় করুন-Buy

pdf download