মহিউদ্দিন আহমদ বই pdf download from tunetuni.mohiuddin ahmed books pdf.প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান পিডিএফ ডাউনলোড৷
বইঃ প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান pdf download
লেখকঃ মহিউদ্দিন আহমদ
প্রকাশনীঃ প্রথমা প্রকাশন
ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল(Pdf)
ক্যাটাগরিঃ মহিউদ্দিন আহমদ, রাজনৈতিক বই pdf download

বইটির রিভিউঃ(Pdf download)
১৯৬২ সালে সিরাজুল আলম খানের পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্দুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হয় স্বাধীনতাকামী গােপন সংগঠন । স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস / স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ ” ।
পরবর্তীতে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রয়ােজনে এটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়
১.রাজনৈতিক উইং ” বিএলএফ ”
২.সামরিক উইং ” জয় বাংলা বাহিনী ”
এটি ছিল মূলত ছত্রলীগের অভ্যন্তরে গঠিত একটি গােপন সংগঠন বা সেল । ধীরে ধীরে এটি দেশজুরে গােপনে কর্মী সংগ্রহ করতে থাকে । ১৯৬২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান সহ সকল আন্দোলন সংগ্রাম পরিচলনার নেপথ্যে ভূমিকা পালন করেছেন সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বোধীন ” নিউক্লিয়াস ” ।
বিভিন্ন সময়ে হরতাল , মিটিং – মিছিল , ” জয় বাংলা ” কে জাতীয় স্লোগানে রুপদ্বান সহ তৎকালীন সময়ে জনপ্রিয় সব স্লোগান প্রনয়ন , ছাত্র আন্দোলনে কৃষক – শ্রমিকদের সম্পৃক্তকরনসহ গুরুত্বপূর্ণ সব কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারিও ছিলেন রাজনীতি রহস্য পুরুষ খ্যাত সিরাজুল আলম খান ।
জাতীয় পতাকা তৈরি ও ২ মার্চ আ.স.ম আব্দুর রব কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তলন এবং স্বাধীনতার ইশতেহার প্রনয়ণ ও ৩ মার্চ শাহজাহান সিরাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের নেপথ্য ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান এবং তার নেতৃত্বাধীন নিউক্লিয়াস নেতৃ ও কর্মীবৃন্দ ।
Pdf Download
১৯৬৯ সাল নাগাদ সিরাজুল আলম খান , বঙ্গবন্ধুকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন । তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু তাদের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সমর্থন প্রদান করে আসছিলেন । মুক্তিযুদ্ধের সময় নিউক্লিয়াস ও ছাত্রলীগের নেতা – কর্মীবৃন্দ মুজিব বাহিনী গঠন করে চাররি সেক্টরে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেন । স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ” বিপ্লবী জাতীয় সরকার ” গঠন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে মতভেদ দেখা দিলে তিনি পৃথক রাজনৈতিক দল জাসদ গঠন করেন ।।।
খুব দ্রুত জাসদ জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে এবং সিরাজুল আলম খান তার তত্ব দিয়ে তরুণ প্রজন্মেকে বিপ্লবী চেতনায় উদ্ভূত করতে সক্ষম হন । ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের সময়কাল পর্যন্ত নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জাসদ জাতীয় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখে । তবে পরবর্তীতে দায়ীত্বরত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অদূরদর্শীতায় দলটি ক্ষমতার খুব কাছে গিয়েও ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদনে ব্যার্থ হয় ।
এসসময় প্রায় দশ হাজার জাসদের নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের শিকার হন । গ্রেপ্তারের পর গােপন সামরীক আদালতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি ও মূল নেতৃত্ব দীর্ঘ দিন কারাগারে বন্দীদশায় থাকায় জাসদের সক্রিয়তা স্তিমিত হতে থাকে । ধীরে ধীরে এক সময় রাজনৈতিক ভাবে জাসদ তার অস্তিত্ব সংকটে পতিত ।