upanishad bengali pdf free download from tunetuni.
উপনিষদ সমগ্র pdf download || উপনিষদ গ্রন্থাবলী PDF

upanishad bengali pdf Download
স্বামী বিবেকানন্দ চেয়েছিলেন ঘরে ঘরে বেদান্ত পৌঁছে দিতে । তার বিশ্বাস , এতে জাতির মেরুদণ্ড শক্ত হবে । বেদান্তের বাণী কি ? আমাদের সকলের মধ্যে যে ঈশ্বরীয় সত্তা বিদ্যমান , সেই সত্তাকে ফুটিয়ে তােলা — প্রাত্যহিক জীবনে । যদি একজন বুদ্ধ হতে পারেন , তবে আমরা সবাই বুদ্ধ হতে পারি ।
এই সত্যকে কথায় এবং কাজে পরিণত করাই জীবনের উদ্দেশ্য । বেদান্ত বলে , নিজেকে যা ভাববে , তুমি তাই হবে । পাপী ভাবলে পাপীই হবে । নিজেকে পাপী ভাবাই পাপ । ‘ উপনিষদ ’ বেদান্ত – গ্রন্থের সার । প্রধান কয়েকটি উপনিষদ এখানে অনুবাদ করে দেওয়া হল — যথাসম্ভব শঙ্করাচার্যকে অনুসরণ করে এবং সহজ সরল ভাষায় । এবিষয়ে অনেকে সাহায্য করেছেন । তাদের সবাইকে আমি অশেষ ধন্যবাদ জানাই ।
উপনিষদ এর বিষয়বস্তুঃ(Pdf Download)
ঈশ উপনিষদ ‘ উপনিষদ ’ শব্দটি বলতে কোন গ্রন্থ বােঝায় না , বােঝায় জ্ঞান । এই জ্ঞান সাধারণ জ্ঞান নয় , অতি উচ্চকোটির জ্ঞান , যে জ্ঞান শান্তি ও আনন্দ এনে দেয় , মানুষ কৃতাৰ্থ বােধ করে । এই জ্ঞান লাভ করতে হলে আচার্যের কাছে যেতে হবে— যে আচার্য স্বয়ং জ্ঞানের অধিকারী । যে নিজে অন্ধ সে পথ চেনবার জন্য নিশ্চয়ই আর এক অন্ধের কাছে যাবে না । সেই ভাবেই যে আচার্য নিজে এই আত্মজ্ঞান অর্জন করেননি তার কাছে যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না ।
শিক্ষার্থী অতি বিনীতভাবে এই জ্ঞানী আচার্যের কাছে উপস্থিত হবেন । আচার্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অর্থ প্রত্যাশা করেন না কিন্তু শিষ্য বিনয়ী এবং ধৈর্যশীল শ্রোতা হবেন , এই প্রত্যাশা তার থাকে । তিনি আরও আশা করেন যে শিষ্য বিষয়টি সম্পর্কে অনুরাগী এবং শ্রদ্ধাশীল হবেন ।
সত্যের জন্য শিষ্যের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকবে এবং যথাসাধ্য নৈতিক ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের পরই তিনি আচার্যের কাছে যাবেন । ‘ ঈশ ’ এই শব্দটি দিয়ে এই উপনিষদ শুরু হয়েছে , তাই এই উপনিষদের নাম ঈশ উপনিষদ । ঈশ কথাটির অর্থ ঈশ্বর , যিনি সর্ববস্তুর অন্তরস্থ আত্মা । অন্যান্য উপনিষদ থেকে ঈশ উপনিষদের পার্থক্য এই যে — এটি সম্পূর্ণ শ্লোকে লেখা , এবং অনেকের মতে উপনিষদ – সমূহের মধ্যে এটি প্রাচীনতম এবং সর্বােৎকৃষ্ট ।
উপনিষদ সকল গ্রন্থ pdf book library
এই উপনিষদ শুক্লযজুর্বেদে পাওয়া যায় । বেদের সংহিতা অংশ প্রধানত কর্মকাণ্ড বিষয়ক , ঈশ উপনিষদ সংহিতার অঙ্গ হলেও কেবলমাত্র অদ্বৈততত্ত্বের আলােচনাই এখানে আছে । যাগযজ্ঞকর্মাদির সঙ্গে এই উপনিষদের কোন সম্পর্ক নেই । সাধারণভাবে জ্ঞান – অজ্ঞান , সত্য – অসত্য , এক – বহু ইত্যাদি বিতর্ক দিয়ে উপনিষদসমূহ ভরা । কিন্তু ঈশ উপনিষদে অতি স্পষ্টভাবে এই বিতর্কের মীমাংসা করা হয়েছে ।
আপেক্ষিক সত্য পরম সত্যে বিলীন হয় — এই উপনিষদে তাই দেখানাে হয়েছে । এই পরমসত্য নামরূপহীন । সাধারণ ভাষায় ব্রহ্ম ( বৃহত্তম ) বা পরমাত্মা ( বিশ্বাত্মা ) বলে ইনি অভিহিত ।
ইনিই আমাদের সকল সত্তার সারস্বরূপ এবং সকল বস্তুর আশ্রয় । নাম এবং রূপেই যত বৈচিত্র , মূলত সকলের মধ্যে সেই একই সত্তা । এই একের স্বরূপ ও তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কই এই উপনিষদের অনুসন্ধানের বিষয় ।