100 Selected Speeches of People’s Leader Sheikh Hasina pdf download. জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০০ নির্বাচিত ভাষণ বই pdf download. শেখ হাসিনার বই pdf
বইয়ের নাম | জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০০ নির্বাচিত ভাষণ ১ম ও ২য় খণ্ড (১৯৮১-২০১৮) |
লেখক | নূহ-উল-আলম লেনিন |
প্রকাশনি | ভাষাচিত্র |
ফরমেট | |
সংস্করন | 1st Published, 2018 |
ভূমিকা রাজনৈতিক পথপরিক্রমা : রাজনৈতিক সংগ্রাম ও সাফল্যের গাথা শেখ হাসিনা । বঙ্গবন্ধু – কন্যা । হাসু , আপা , নেত্রী , জননেত্রী । মাদার অব হিউমেনেটি । গণতন্ত্রের মানসকন্যা , উন্নয়নের কাণ্ডারি । নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা । বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা নীলকণ্ঠ পাখি । বাঙালি জাতির স্বপ্নের সারথী । দেশের দীর্ঘতম সময়ের সফল প্রধানমন্ত্রী । আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্নয়নশীল দেশসমূহের মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত । শান্তি , গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য প্রশংসিত , অনুকরণীয় রাষ্ট্রনায়ক । যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রােল মডেল । শেখ হাসিনা সম্পর্কে ইত্যাকার বিশেষণ এবং তাকে ঘিরে দেশের মানুষ ও দলীয় কর্মী – সমর্থকদের আবেগ – অনুভূতি সম্পর্কে দীর্ঘ তালিকা প্রণয়ন করা যেতে পারে । তবে , এ জাতীয় নান্দীপাঠ ’ অনেক সময় স্কুল ব্যাজস্তুতি বলে মনে হতে পারে । স্তাবক এবং চতুর নিন্দুকেরা প্রকারান্তরে অতিশয়ােক্তি এবং ব্যাজতির মাধ্যমে মানুষটির প্রাপ্য প্রকৃত মর্যাদাকেই ক্ষুন্ন করে । শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও যে এটি ঘটে না , তা নয় । অবশ্য সচেতন পাঠক সহজেই এই রুচিহীন চালাকি ধরে ফেলতে পারবেন । স্তুতিজীবীদের চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ নয় । কিন্তু কোনাে বিশেষণ ’ বা ‘ অভিধা ’ আমাদের আলােচ্য বিষয় নয় । আমরা তার সংগ্রামমুখর জীবনকে দেখতে চাই নির্মোহ দৃষ্টিতে । ঘটনাক্রমে ১৯৭৫ – এ এবং পরবর্তীকালে অলৌকিকভাবে অনিবার্য মৃত্যুকে এড়িয়ে তিনি এবার ‘৭১ -এ পা বাড়াবেন । জীবনের ৭০ টি বছর আলাে – অন্ধকার , দুঃখ – বেদনা , অস্তিত্বের শেকড়ে টানাপড়েন যেমন তাকে হতোদ্যম করতে পারেনি তেমনি ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে প্রতিক্রিয়ার হাতে রক্তক্ষরণ , চড়াই – উত্রাই জয় – পরাজয়- উত্তরণ প্রভৃতির বহু বর্ণিল অভিজ্ঞতায় তাকে ঋদ্ধ করেছে ।
এক কথায় বর্ণাঢ্য এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন তার । রাজনৈতিক পথিপরিক্রমা : সংগ্রাম ও সাফল্যের গাথা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হিসেবে ৩৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও শেখ হাসিনার সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেছে । একটি রাজনৈতিক পরিবারে বঙ্গবন্ধুর পরিবারে যার জন্ম , কার্যত তার সমগ্র জীবনই তাে রাজনীতির প্রবল ঘূর্ণাবর্তে কেটেছে । তবুও মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৯৬৫ সালে বকশিবাজারের তৎকালীন গভর্নমেন্ট ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ ( বর্তমানে বদরুন্নেসা কলেজ ) -এ ভর্তি হওয়া এবং সে কলেজের ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত সহ – সভাপতি হওয়ার সময়টিকে বিবেচনায় নিলে ইতােমধ্যে ৫২ টি বছর কেটে গেছে । মাঝখানে মুক্তিযুদ্ধোত্তর দু – তিনটি বছর বাদ দিলে গত প্রায় অর্ধশতক জুড়েই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাফেলায় যুক্ত ছিলেন । এর মধ্যে টানা ৩৭ বছর তিনি বাংলাদেশের মূল ধারার রাজনীতির কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন । আর এই ৩৭ বছরের ১৪ বছর তিন – দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন । সংসদে বিরােধী দলের নেতা হিসেবেও তিনি প্রায় এক যুগ গণতন্ত্রে উত্তরণ ও সংসদীয় রাজনীতিতে জনগণের আশা – আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন । বাংলাদেশে বর্তমানে এমন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী নেতার সংখ্যা বিরল । শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উত্থান স্বাভাবিক নিয়মে হয়নি । ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ শেখ হাসিনা – রেহানার অনুপস্থিতিতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা না হলে রাজনৈতিক মঞ্চে শেখ হাসিনার আবির্ভাব এত তাড়াতাড়ি এবং এভাবে হতাে না । আওয়ামী লীগের মতাে এমন একটি বৃহৎ পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার মতাে কোনাে প্রস্তুতিই তার ছিল না । কিন্তু নিয়তি তার কাঁধে সেই দায়িত্বই অর্পণ করেছিল । একটি বৃহৎ পরিবারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে তিনি তার ছােট পরিবারটিকে কার্যত বঞ্চিত করেছেন । ৯ এবং ৮ বছর বয়সের দুটি শিশুপুত্র – কন্যাকে বিদেশ বিভূঁইয়ে ফেলে ১৯৮১ সালের মে মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন ।
ইতােমধ্যে তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করেছিল । অতঃপর দীর্ঘ তিন যুগের পথচলা । অনেকে সহজ সমীকরণ করে বলেন , শেখ হাসিনা পিতৃহত্যার প্রতিশােধ গ্রহণের জন্যই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন । কথাটা সত্য এবং অসত্য দুটিই । সত্য বটে , শেখ হাসিনা ‘ পিতৃহত্যার প্রতিশােধ ‘ চেয়েছেন । কিন্তু এই প্রতিশােধ কোনাে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য নয় । শেখ মুজিব কেবল তার জন্মদাতা পিতা ছিলেন না , তিনি ছিলেন জাতির পিতা ‘ , বাঙালির তিন হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম একটি জাতি – রাষ্ট্রের স্থপতি , স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক এবং বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ স্বপ্নের নির্মাতা । একজন জাতির পিতাকে হত্যা করা , একটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যা করা এবং জাতির স্বপ্নকে হত্যা করার প্রতিশােধ তাে কেবল , প্রচলিত ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হত্যাকারীদের বিচার করা নয় । বিয়ষটি কেবল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে যদি সীমাবদ্ধ থাকত , তা হলে একে নিছক প্রতিশােধ বা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পর্যন্তই বলা যেত । কিন্তু শেখ হাসিনা কেবল প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন ও ধৃত অপরাধীদের শাস্তিই কার্যকর করেননি ; তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে যে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য , পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্র ছিল , সেই সত্য উদঘাটন করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে স্বমহিমায় জাতির পিতার মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছেন । বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চরিত্র বৈশিষ্ট্য পাল্টে দেওয়া হয়েছিল । নির্মূল করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে । বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বে বাঙালির আত্মপরিচয় মুছে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল ।
শেখ হাসিনা গত ৩৭ বছরের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে তা ব্যর্থ করে দিয়েছেন । বস্তুত , বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তার সােনার বাংলার স্বপ্ন রূপায়ণের নিরলস কর্মযজ্ঞের ভেতর দিয়েই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রকৃত প্রতিশােধ গ্রহণের কাজটি তিনি অব্যাহত রেখেছেন । এক কথায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলাে সম্পন্ন করাই তার জীবনের ব্রত । আগেই বলেছি দল ও দেশের হাল ধরার কোনাে প্রস্তুতি ছিল না শেখ হাসিনার । একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠার সুবাদে ঐতিহ্যসূত্রেই রাজনীতির শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা শৈশব – কৈশাের থেকেই তার সঞ্চয়ে রয়েছে । সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক মহিলা মহাবিদ্যালয় ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত সহ – সভানেত্রী হিসেবে ছাত্র আন্দোলনে এবং ঊনসত্তরের গণ – অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ শেখ হাসিনার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে । মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস গৃহবন্দি থেকে প্রতি মুহূর্তে জীবন – মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কাটিয়েছেন । অসীম ধৈর্য ও সাহস নিয়ে প্রবল বৈরি সময়কে মােকাবিলা করেছেন । অতঃপর বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন । যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন এবং রাষ্ট্রপরিচালনায় পিতার জাদুকরি দক্ষতা ও ক্যারিশমাকে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন । বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনি প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তােলা এবং আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের উদ্যোক্তা ছিলেন । নির্বাসিত থাকলেও নিবিড় সম্পর্ক ছিল দেশের সাথে । তিনি অভিজ্ঞতার এই সঞ্চয় নিয়েই ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন । বলা বাহুল্য , এটুকু অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন সহজসাধ্য ছিল না । একটা বৈরি সময়ে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন । শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে ( ৩০ মে ১৯৮১ ) স্বৈরাচারী সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীরই একটি অংশের দ্বারা নিহত হন । একটা অনিশ্চিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয় । তা সত্ত্বেও সে পরিস্থিতি মােকাবিলা করে শেখ হাসিনা চারণের মতাে সমগ্র বাংলাদেশ চষে বেড়ান ।
“বই থেকে সংগ্রিহত”

জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০০ নির্বাচিত ভাষণ বই pdf – Download Coming soon…….
বইটি এখনও অনলাইনে pdf available না৷ তাই কপিরাইট এর কারনে যখন বইটির পিডিএফ লিংক অনলাইনে পাওয়া যাবে আমরা সরাসরি pdf link share করবো৷