presentation speech and debating tactics books pdf download from tunetuni.
অনুষ্ঠান উপস্থাপনার বই pdf download | বক্তৃতার বই pdf
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা মূলত বাচনিক শিল্পকর্ম । সেটা মঞ্চ , টেলিভিশন কিংবা বেতার , যে মাধ্যমেই হােক – না কেন । আর তাই অনুষ্ঠান উপস্থাপনার প্রধান এবং প্রথম শর্ত হচ্ছে শুদ্ধ উচ্চারণ ।
উপস্থাপনা , অভিনয় , গল্প বলা , আবৃত্তি , যুক্তিতর্ক উপস্থাপন কিংবা যে কোনাে পাঠ যখন তা অন্যে শ্রবণ করে তখন শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা থাকে কথক বা উপস্থাপক বিষয়টি তাকে সহজে বুঝতে সাহায্য করবে ।
শুদ্ধ – প্রমিত উচ্চারণের মাধ্যমে ব্যক্তির নিকট শব্য – বিষয় যতখানি বােধগম্য হয় , উচ্চারণের ত্রুটির কারণে ঠিক তার উল্টো ফল ফলে । এক্ষেত্রে বক্তার উদ্দেশ্য থাকে বক্তব্যের বিষয়টি শ্রোতাকে শুনানাে এবং তার মর্ম উপলব্ধি করানাে । কিন্তু ভুল উচ্চারণে সে কাজে বাধা সৃষ্টি করে ।
ভুল উচ্চারণ হিতে বিপরীত হবার অনেক উদাহরণ আছে । এই প্রসঙ্গে একটি চমৎকার গল্প বলা যায় বৈকি । ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যােগদান করে হাবিবুর রহমান সাহেব ফোন করলেন ঢাকা জেলা পুলিশ লাইসে ।
Also Link: উপস্থাপনা ও কথা বলার কলাকৌশল pdf download
টেলিফোন রিসিভ করলেন আর , আই . সাহেব , ‘ হ্যালাে , ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস্ । কথা বলছি , আমি আর . আই . থুইকে । ‘ থুইকে ’ এক আদিবাসী পুলিশ কর্মকর্তার নাম । যিনি আর . আই . বা রিজার্ভ পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন্সে সে – সময়ে কর্মরত ছিলেন ।
এমনিতেই পার্বত্যবাসীরা শুদ্ধ – প্রমিত বাংলা উচ্চারণে কথা বলতে পারঙ্গম নয় । তদুপরি তার উচ্চারণের দুর্বলতার কারণে টেলিফোনের অপর প্রান্তের শ্রোতা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান সাহেব শুনতে পেলেন , ‘ হ্যালাে , ঢাকা জেলা পুলিশ লাইনস্ । কথা বলছি , আমি আর . আই . তুই কে ? ( থুইকে ’ শব্দটিকে উচ্চারণের দুর্বলতার কারণে শ্রোতা শুনতে পেলেন ‘ তুই কে ‘ ) ।
সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোনটি রেখে দিলেন ঢাকা জেলায় সদ্য যােগদান করা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান সাহেব । আর মনে মনে কেবলি ভাবতে থাকলেন , “ কে এই টেলিফোন রিসিভকারী অসভ্যটা ? বুঝতেই পারছেন , উচ্চারণের দুর্বলতার কারণে কত বড় ধরনের বিপত্তি ঘটে যেতে পারে ।
Link: স্মার্ট ক্যারিয়ার pdf download
Link: টাইম মেশিন pdf
আর তাই তাে উচ্চারণে সতর্কতা অবলম্বন করা কেবল অনস্বীকার্য নয় — অতীব জরুরি । তদুপরি ভুল উচ্চারণে অনেক ঝামেলা হয় । যেমন বার ’ আর ‘ ভার ’ অথবা বারি ’ আর ভারী ’ শব্দগুলাে লেখা দেখে অর্থ নির্ণয় করা যতখানি সহজ , উচ্চারণে মহাপ্রাণের ‘ ভ ’ যদি অল্পপ্রাণের ব ’ এর মতাে উচ্চারিত হয় , তখন কিন্তু স্থান – কাল – পরিবেশ বিবেচনা করার পর বিষয়টি শ্রোতার নিকট বােধগম্য হবে ।
তবে এর জন্য সময় লাগবে এবং এই সময়ের মধ্যে বক্তা অন্য বাক্যে চলে যাবেন । শ্রোতা তখন তাল রাখতে হিমশিম খাবেন । আমাদের দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক উচ্চারণ আমাদের উপস্থাপনা – শিল্পের অন্যতম ক্ষতির কারণ বটে । উপস্থাপকের শ্রোতার প্রতি সৌজন্য প্রকাশের একমাত্র উপায় হচ্ছে শুদ্ধ – প্রমিত এবং স্পষ্ট উচ্চারণ । শ্রোতাগণ অবশ্যই আশা করেন যেন বক্তব্যের বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে শুনতে পাওয়া যায় ।
একটা কথা মনে রাখা প্রয়ােজন , যার উচ্চারণ সুস্পষ্ট আর ত্রুটিমুক্ত নয় , তার উপস্থাপনা করতে যাওয়া নিতান্তই বিড়ম্বনা মাত্র । প্রণিধানযােগ্য যে , আমরা মুখ দিয়ে যখন কথা বলি তখন অনেকগুলাে প্রত্যঙ্গ সেই কাজে সহায়তা করে । যেমন : জিহ্বা , দাঁত , ঠোট , গলা , চোয়াল , তালু , নাসিকা ইত্যাদি ।
Link: অফিস পলিটিকস pdf download
এই সকল অঙ্গ – প্রত্যঙ্গকে একত্রে বাগযন্ত্র বলে । উচ্চারণের পূর্বশর্ত হচ্ছে বাগযন্ত্রকে সচল এবং সজীব রাখা । এই সকল বিবেচনায় উপস্থাপককে অনুশীলনের মাধ্যমে জিহ্বার জড়তা , উচ্চারণের ত্রুটি , শব্দ ও বাক্য প্রক্ষেপণের প্রক্রিয়া , ফুসফুসে বাতাস সংরক্ষণ , শব্দ – বাক্যের ভাববিন্যাস , প্রকৃত স্থানে বিরতি , স্বরক্ষেপণ , গতি – সুর – ছন্দ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ও নিজকণ্ঠ এবং বাগযন্ত্রে তা ঠিক – ঠিকভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারা অত্যন্ত প্রয়ােজন ।
আর তা উপস্থাপককে নিজ প্রচেষ্টায় রপ্ত করতে হবে । একই সঙ্গে স্মরণযােগ্য , শব্দ উচ্চারণের উপাদান বাতাস । বুকের ভেতর থেকে কণ্ঠনালি বেয়ে বাগযন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে বাতাস আঘাত করার ফলে শব্দ উচ্চারিত হয় ।
ফুসফুসের নিচে অবস্থিত মধ্যচ্ছদা বা ডায়াফ্রাম পেশির সংকোচন – প্রসারণের মাধ্যমে ফুসফুসে বায়ু সংরক্ষণ ও নিঃসরণ ঘটে । তাই , সকলের আগে এই ডায়াফ্রামকে কাজে লাগিয়ে ফুসফুসে বাতাস সংরক্ষণ ও পরিমিতভাবে নির্গতকরণ বিষয়ে অনুশীলন থাকতে হবে । এরজন্য ডায়াফ্রামের ব্যায়াম অপরিহার্য ।
আমরা শ্বাস গ্রহণ – বর্জন করি এবং একটা ধারণা আছে যে হৃৎপিণ্ডের মধ্যেই দম ধরে রাখি । আসলে এটা ভুল । শ্বসনক্রিয়া বাচনভঙ্গিকে সহায়তা করে ।
