আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক এর বই pdf | muhammad–sm—e-sorboshreshtho-rasul pdf books | Free Bengali eBook Pdf | Bangla Pdf Book Download
বইঃ মুহাম্মাদ (ছাঃ) ই সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল
লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক
Publiser: নিবরাস প্রকাশনী
ফরমেটঃ পিডিএফ ফাইল
Edition 1st Published: 2016
Number of Pages: 48
Country: বাংলাদেশ
Language: বাংলা
Muhammad–sm—e-sorboshreshtho-rasul pdf download
abdullah bin abdur razzak biography
মুহাম্মাদ (ছাঃ) ই সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল বইয়ের ভূমিকাঃ
যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য । শান্তি অবতীর্ণ হােক মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) -এব উপর । ২০১৪ সাল । আমি তখন দারুল উলুম দেওবান্দে দাওরায়ে হাদীছের ছাত্র । হঠাৎ একদিন শরীফ আবু হায়াত অপু ভাইয়ের মেসেজ । তিনি ১ টি বইয়ের ডাউনলােড লিংক পাঠিয়েছেন । বইটির নাম ‘ আমরা রাসূলগণের মাঝে পার্থক্য করি না । অত্র বইয়ে প্রমাণ করা হয়েছে- ‘ সকল রাসূল মর্যাদাগতভাবে বরাবর । কেউ সর্বশ্রেষ্ঠ নন ‘ । বইটি পড়ে অনেক তরুণ গােমরাহ হচ্ছে । বইটির একটা জবাব লেখার জন্য তিনি আমাকে অনুরােধ করলেন । তার অনুরােধের প্রেক্ষিতে কলম ধরা । পরবর্তীতে লেখাটি মাসিক আত – তাহরীক পত্রিকায় পর্ব আকারে প্রকাশিত হয় । তাহযীব সেন্টার , ঢাকার পক্ষ থেকে বই আকারেও প্রকাশিত হয় । আমার লিখিত প্রথম প্রকাশিত বই এটি । মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) -এর শানে লেখা এই বইটি আমার প্রথম প্রকাশিত বই হওয়ায় সত্যি যারপরনাই খুশি । ফালিল্লাহিল হামদ্ । মহান আল্লাহর দরবারে একটাই দু’আ , তিনি যেন এই বইয়ের বদৌলতে কিয়ামতের মাঠে প্রাণপ্রিয় রাসূলের শাফাত পাওয়ার তাওফীক দান করেন – আমীন !!
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক এর বইয়ের প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ
বর্তমান যামানা ফিন্নার যামানা । ইসলামী শরী’আতকে সালাফে ছালেহীন – এর পথ থেকে সরে গিয়ে নিজের মনমত বুঝার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে । তাই মাদরাসা মসজিদ বাড়লেও সঠিক ইলম লােপ পাচ্ছে । ইসলাম মূলত জানার নাম । তাই এখানে অজ্ঞতা যতটা বাড়ে , ফেত্না ও ফিরক্বা ততটা বাড়ে । বর্তমানে আমরা যত ফিরক্বা ও ফিতনা দেখছি তার মূল কারণ তিনটা । যথা :
১. আরবী না জেনে শুধু বাংলায় অনূদিত গুটিকতক বই পড়ে ফৎওয়া দেয়া ।
২. কুরআনের আয়াত বা হাদীছ পেশ করে নিজের মনমত ব্যাখ্যা করা ।
৩. কুরআনের আয়াত ও হাদীছকে নির্দিষ্ট একজনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী অন্ধভাবে অনুসরণ করা ।
সুধী পাঠক ! কেউ যদি ইসলামী শরী’আত সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে চায় এবং হক্ব বুঝতে চায় , তাহলে তাঁর আরবী জানা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই । তবে সে নিজ থেকে বাংলা কুরআন ও হাদীছ পড়ে যে বিষয়গুলাে বিতর্কিত নয় যেমন , ছালাত ফরয , সূদ খাওয়া হারাম , গান – বাজনা না জায়েয , পিতা – মাতার সম্মান করতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলাের দিকে মানুষকে আহ্বান করতে পারে । কিন্তু যেই মাসআলা বিতর্কিত সেই মাসআলার প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য অবশ্যই তাকে আরবীসহ উছুলী জ্ঞান অর্জন করতে হবে । যদি তার ভিতরে আরবী বুঝার ক্ষমতা না থাকে , তাহলে সে বিতর্কিত মাসআলাতে যা বলবে বা লিখবে তার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী । এই ধরণের লােকদের ফৎওয়া প্রদান নাজায়েয এবং ফিতনা । হাদীছে এসেছে , আমর ইবনু ‘ আছ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন , আমি রাসূল ( ছাঃ ) -কে বলতে শুনেছি , অর্থাৎ “ নিশ্চয় মহান আল্লাহ ইলমকে মানুষের মাঝ থেকে ছিনিয়ে নিবেন না । বরং ইলমকে গুটিয়ে নিবেন আলেম – ওলামাকে উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে । এমনকি যখন আর কোন আলেম বাকী থাকবে না , তখন মানুষ জাহেলগণকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে এবং তাদেরকেই জিজ্ঞেস করবে । তারা ইলম ছাড়াই ফওয়া দিবে এবং নিজেও পথভ্রষ্ট হবে অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে । এখনও কত হাযার হাযার কুরআন – হাদীছের বই বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়নি তার ইয়ত্তা নেই । বলা যায় ইসলামী জ্ঞান ভাণ্ডারের শত ভাগের এক ভাগও বাংলায় অনূদিত হয়নি । তাহলে যে ব্যক্তি সেই আরবী বইগুলাে না পড়েই শুধু বাংলা পড়ে যাওয়া দিবে সে দ্বীনের সাথে কত বড় জালিয়াতি করবে তা কল্পনাতীত । ‘ সকল রাসূল মর্যাদাগতভাবে সমান ’ এই জাতীয় ভ্রান্ত আক্বীদার উৎপত্তি মূলত আরবী না জানা এবং কুরআনের আয়াত ও রাসূলের হাদীছকে নিজের মন মত বুঝার ফল ।
২. কুরআন থেকে দলীল গ্রহণের নিয়ম হচ্ছে কুরআনের ব্যাখ্যা আগে কুরআন দিয়ে করতে হবে । তারপর হাদীছ দিয়ে করতে অতঃপর ছাহাবায়ে কেরামের মন্তব্য দিয়ে । এরপর সালাফে ছালেহীন বা মুহাদ্দিছগণের মন্তব্য দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে । কেউ যদি কুরআনের আয়াত বা হাদীছের ব্যাখ্যা করার সময় সালাফে ছালেহীন – এর ব্যাখ্যা পেশ না করে নিজের ব্যাখ্যা পেশ করে , তাহলে তা আর কুরআনের আয়াত থাকে না , বরং তা মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত মতামত হয়ে যায় । কেননা সালাফে ছালেহীনের বুঝ অনুযায়ী কুরআন না বুঝে , যদি মানুষ নিজ নিজ বুঝ অনুযায়ি বুঝে তাহলে এই কুরআন ও হাদীছ প্রত্যেক ফিরক্বার দলীল হবে ।
৩. একদল মানুষ কুরআন ও হাদীছকে নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তি বা ইমামের ব্যাখ্যা অনুযায়ী বুঝে । যাকে আমরা প্রচলিত ভাষায় কোন ইমামের তাক্বলীদ করা বলি । সত্যি বলতে কি , নিজে নিজে কুরআন হাদীছ বুঝার চেষ্টা করা এবং নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির মতানুযায়ী বুঝার চেষ্টা করা দুটি পদ্ধতিই আশঙ্কা থেকে মুক্ত নয় । সর্বোত্তম ও মধ্যপন্থা হচ্ছে ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী কুরআন ও হাদীছ বুঝা ।
- মুহাম্মাদ (ছাঃ) ই সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল বইয়ের সূচিপত্র বিষয়ঃ
- ভূমিকা
- প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
- মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) -ই সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল
- কুরআন থেকে দলীল
- রাসূল ( ছাঃ ) -এর নামে কসম
- সকল নবীর নিকট শপথ গ্রহণ
- হাদীছ থেকে দলীল
- শাফায়াতে কুবরা ।
- সকল নবীর ইমামতি
- আকৃলী দলীল বা বুদ্ধিবৃত্তিক দলীল
- মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল নয় ’ মর্মে পেশকৃত দলীলসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা
- আমরা রাসূলদের মাঝে পার্থক্য করি না ।
- তােমরা নবীদের মাঝে প্রাধান্য দিও না
- যে বলবে , আমি ইউনুস ইবনু মাত্তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ , সে মিথুক
- ইবরাহীম ( আঃ ) -এর বিষয়ে বর্ণিত হাদীছ
- সালাফে ছালেহীন – এর ঐক্যমত
- ইমাম আলবানী ( রহঃ ) -এর মন্তব্য
- ইমাম শাফেঈ ( রহঃ ) -এর মন্তব্য
- ইমাম ইবনু তাইমিয়া ( রহঃ ) -এর মন্তব্য
- শায়খ ছালেহ আল – উছাইমীন ( রহঃ ) -এর মন্তব্য
- শায়খ ছালেহ আল – মুনাজ্জিদ – এর ফাতওয়া
- ইমাম নববী ( রহঃ ) -এর ফাতওয়া
- ইমাম রাযী ( রহঃ ) -এর বক্তব্য
- ইমাম কুরতুবী ( রহঃ ) বলেন
- শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু বায ( রহঃ ) -এর বক্তব্য
- সউদী আরবের ফাতাওয়া বাের্ড ‘ লাজনাদায়েমা ‘ – এর ফাতাওয়া
- সতর্কীকরণ
- উপসংহার