মিন্নাতুল বারী pdf download-Minnatul bari books

4/5 - (3 votes)

Minnatul bari by abdullah Bin abdur razzaq pdf download. মিন্নাতুল বারী-আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল রাজ্জাক pdf books. Abdullah bin Abdul Razzak pdf islamic books here.All islamic books pdf.Abdur Razzak bin Yousuf pdf.Zakir naik pdf.Asadullah al galib pdf books. বুখারীর ব্যাখ্যা pdf bangla

বইঃ-মিন্নাতুল বারী (ছহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা ১ম খণ্ড)

লেখকঃ-Abdullah Bin Abdur Razzak

প্রকাশনীঃ-Nibraas Prokashoni

ফরম্যাটঃ-পিডিএফ ফাইল(Pdf)

ক্যাটাগরিঃ-আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক

pdf download

মিন্নাতুল বারী Pdf books || pdf download || pdf file || pdf bangla ||pdf ebooks

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক বই pdf | Minnatul bari pdf download | মিন্নাতুল বারী pdf download | মিন্নাতুল বারী বই pdf | মিন্নাতুল বারি বই ডাউনলোড pdf | মিন্নাতুল বারী ডাউনলোড pdf |
মিন্নাতুল বারি pdf | মিন্নাতুল বারী rokomari

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক পিডিএফ বুকস || পিডিএফ বই || পিডিএফ ডাউনলোড

Minnatul Bari pdf books-Abdullah bin Abdur Razzaq

মিন্নাতুল বারী সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা ১ম খন্ড(ভূমিকা)

মিন্নাতুল বারী বইয়ের ভূমিকাঃ

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য । তিনি আমার প্রতিপালক । আমি তারই সাহায্য প্রার্থনা করছি । তিনি ব্যতীত আমার কোন সাহায্যকারী ও অভিভাবক নাই । আমি তার নিকট আমার সকল মন্দ আমলের খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছি । আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই । মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) তাঁর বান্দা ও রাসূল ।

তার উপর শত কোটি দরূদ ও ছালাম বর্ষিত হােক ! পরকথা এই যে , ছহীহ বুখারী পবিত্র কুরআন মাজীদের পর পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ববিশুদ্ধ গ্রন্থ । আরবী ও উর্দু ভাষায় এই গ্রন্থটির অনেক ব্যাখ্যা গ্রন্থ রয়েছে । কিন্তু দুঃখজনক হলেও বাংলা ভাষায় ছহীহ বুখারীর স্বতন্ত্র কোন ব্যাখ্যা গ্রন্থ নাই । আমি দারুল উলুম দেওবান্দে দাওরায়ে হাদীছের বছর যখন ছহীহ বুখারী পড়ি তখনই মনের মধ্যে বাংলা ভাষায় ছহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ লেখার সংকল্প করেছিলাম ।

মনের ক্যাম্পাসে আঁকা সে ছবিকে বাস্তবে রূপায়িত করতে দেরি করিনি । দাওরায়ে হাদীছ শেষ করে বাড়ীতে ফিরে রামাযান মাসে আমাদের এলাকার মসজিদে বুখারীর দারস দেয়া শুরু করি । পাশাপাশি ব্যাখ্যা লেখার কাজেও হাত দিই । রামাযান মাস পার হলে কারণবশত ইচ্ছা করেই ছহীহ বুখারীর কাজ বন্ধ রাখি । ইলমে হাদীছে নিজের জ্ঞানকে শানিত করার জন্য এবং উলূমুল হাদীছের প্রেক্টিসের জন্য আলবানী ( রহঃ ) -এর মত পরিবর্তন নিয়ে ১০০ হাদীছ সম্বলিত একটি বই লিখি ।

উল্লেখ্য যে , উলূমুল হাদীছ চর্চার জন্য আমি দারুল উলুম দেওবন্দে মিশকাতের বছর মিশকাতুল মাছবীহের দুই – তৃতীয়াংশ তাহক্বীক করি এবং দাওরায়ে হাদীছের বছর তাকৃরীবুত তাহযীবের উপর কাজ করি । সেই চর্চাকে ধরে রাখার জন্যই মূলত আলবানী ( রহঃ ) -এর মত পরিবর্তন নিয়ে লেখা । প্রথম খণ্ড প্রকাশ হতে হতে মদীনায় যাওয়ার ডাক এল ।

মদীনা গিয়ে আবার একাডেমিকাল পড়াশােনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি । মদীনায় যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম , ছহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা লেখার আগে সাধারণ জনগণকে ইলমে হাদীছের কিছু মৌলিক বিষয়ে ধারণা দেয়া প্রয়ােজন । সেইদিকে লক্ষ্য রেখে নতুন দুটি বই লিখি- ‘ মুছতৃলাহুল হাদীছ শিক্ষায় মণি মুক্তা উপহার ’ ও ‘ আমরা হাদীছ মানতে বাধ্য ‘ । প্রথমটি উছুলে হাদীছ বিষয়ে দ্বিতীয়টি হুজিয়াতে হাদীছ বিষয়ে ।

এগুলাে লিখতে লিখতেই মদীনাতে তৃতীয় সেমিস্টারে পুনরায় ছহীহ বুখারী পড়ার সুযােগ হয় । অতঃপর ভাগ্যক্রমে আগস্ট ২০১৬ থেকে প্রায় দেড় মাস ব্যাপী ‘ আল জামি’আহ আস – সালাফিয়্যাহ’তে ছহীহ বুখারীর দারস দেয়ার সুযােগ হয় । দুইবার ছহীহ বুখারী পড়ার ফলে এবং দুইবার বিভিন্ন সময় দারস দেয়ার ফলে ছহীহ বুখারী বিষয়ে হালকা হলেও অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় ।

যা ছহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা লেখার কাজে আমাকে আরাে সাহসের যােগান দেয় । চতুর্থ সেমিস্টার শেষে মূল ব্যাখ্যার কাজে আবার নতুন করে হাত দিই । ব্যাখ্যা লেখা অবস্থাতেই মদীনাতে শায়খ আব্দুল মুহসিন আল – আব্বাদ হাফিযাহুল্লাহ ছহীহ মুসলিম ‘ শেষ করে ছহীহ বুখারীর দারস শুরু করেন । আল – হামদুলিল্লাহ তার দারসেও কয়েকদিন বসার সুযােগ হয়েছে । ২০১৪ সালে দেখা সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়ে আপনাদের হাতে । ফালিল্লাহিল হাদ ।

মিন্নাতুল বারি বইয়ে যা আছেঃ(Pdf Download)

বইটির আলােচনাকে আমরা তিনটি অধ্যায়ে ভাগ করতে পারি ।

প্রথম অধ্যায় ‘ : ইমাম বুখারীর জীবনী । এই অধ্যায়ের উৎস হিসাবে আমি ফাহুল বারী সহ বিভিন্ন প্রচলিত ব্যাখ্যা গ্রন্থগুলাের উপর নির্ভর করিনি । বরং তারা যে উৎসগুলাের উপর নির্ভর করেছেন , আমি সেই উৎসগুলাের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেছি । ইমাম বুখারীর উপর লিখিত অন্যান্য জীবনীর সাথে এই অধ্যায়ের অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে , আমি ইমাম বুখারীর জীবনী সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনার তাহক্বীকৃ পেশ করার চেষ্টা করেছি , যা অদ্যাবধি ছহীহ বুখারীর কোন ব্যাখ্যায় বা ইমাম বুখারীর জীবনীমূলক কোন গ্রন্থে আমার দৃষ্টিগােচর হয়নি । ফালিল্লাহিল হাম্দ ।

দ্বিতীয় অধ্যায় : ছহীহ বুখারীর পরিচয় । এই অধ্যায়ে ছহীহ বুখারীর সার্বিক পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করেছি । ছহীহ বুখারীর নামকরণ থেকে শুরু করে রচনাপদ্ধতি , ছহীহ বুখারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসায়েল যেমন , ছহীহ বুখারীর টীকা , বারংবার উল্লেখিত হাদীছ , ইমাম বুখারীর শর্ত , ছহীহ বুখারীর হাদীছ সংখ্যা , ছহীহ বুখারীর সাথে ছহীহ মুসলিমের তুলনা , ইমাম মুসলিমের সাথে ইমাম বুখারীর মতভেদ , ছহীহ বুখারীর উপর লিখিত গ্রন্থসমূহ ইত্যাদীর আলােচনা এই অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে । এই অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে , ছহীহ বুখারীর যে হাদীছগুলােকে আলবানী ( রহঃ ) যঈফ বলেছেন , সেগুলাের বিস্তর বিশ্লেষণ এবং ছহীহ বুখারীর রিওয়ায়েত , নুসখা ও প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট আলােচনা ।

তৃতীয় অধ্যায় : ছাত্র ও সাধারণ জনগণের জন্য যরূরী কিছু জ্ঞাতব্য । এই অধ্যায়ে ছাত্রদের জন্য উলূমুল হাদীছ ও জারাহ – তাদীলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে । একজন হাদীছের ছাত্রের জন্য প্রয়ােজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের নাম – পরিচয় সহ বর্ণনা করা হয়েছে । সবশেষে ভারত উপমহাদেশে ওলামায়ে আহলেহাদীছের খিদমত বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে ।

সাধারণ জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নসীহত পেশ করা হয়েছে । বিশেষ করে ফিরক্বা নাজিয়া বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার খণ্ডন করা হয়েছে । এই অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে , ইমাম বুখারী ও ইমাম আলবানী ( রহঃ ) সহ মুহাদ্দিছগণকে যারা ফকীহ মনে করেন না , তাদের অত্যন্ত মযবূত দলীলের মাধ্যমে জবাব দেয়া হয়েছে । ফালিল্লাহিল হামদ ।

পরিশেষে পাঠকের নিকট দু’আ চাই , আপনারা মহান আল্লাহর দরবারে অবশ্যই দু’আ করবেন যেন , মহান আল্লাহ আমাকে এই ব্যাখ্যা লেখার কাজ সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যাওয়ার তাওফীক দান করেন । এই গ্রন্থ যেন বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানের বিন্দুমাত্র হলেও উপকারে আসে । গ্রন্থটিকে যেন মহান আল্লাহ কবুল করেন । এই গ্রন্থ লিখতে যাদের সহযােগিতা চির স্মরণীয় বিশেষ করে ,পিতা – মাতা , ভাই – বােন , সহধর্মিনী সকলকেই মহান আল্লাহ উত্তম জাযা দান করুন । আমীন ! আরাে কয়েকজনের কথা না বললেই নয় , শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আব্দুল আলীম মাদানী , বড় ভাই মিযানুর রহমান মাদানী , বড় ভাই বজলুর রহমান ও বন্ধুবর আকরাম হােসেন । তাদের সকলের সহযােগিতাকে মহান আল্লাহ কবুল করে নিন ! তাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন ! উল্লেখ্য যে , বড় ভাই আব্দুল আলীম মাদানী আমার ‘ মুছতৃলাহুল হাদীছ এবং আমরা হাদীছ মানতে বাধ্য বই দু’টিও দেখে দিয়েছিলেন । জাযাহুল্লাহু খায়রান ।

ছহীহ বুখারীর সনদঃ(Pdf Download)

সনদ কী ?

হাদীছের যেমন সনদ থাকে তেমনি বইয়েরও সনদ থাকে । ইমাম বুখারী ( রহঃ ) তার ছহীহ বুখারী তার জীবদ্দশাতেই প্রায় ৯০ হাজার ছাত্রকে পড়িয়েছেন । তার ছাত্রগণ ছহীহ বুখারী নিয়ে পৃথিবীর আনাচে – কানাচে ছড়িয়ে পড়েন । তারাও বহু ছাত্রকে ছহীহ বুখারীর দারস দেন । এভাবে পৃথিবীর কোণায় কোণায় ছাত্র – শিক্ষক পরম্পরায় ছহীহ বুখারীর দারস চলতে থাকে । যা অবিচ্ছিন্ন ভাবে আমাদের পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে । আমাদের পর্যন্ত পৌছতে শিক্ষকগণের এই ধারাকে বইয়ের সনদ বলা হয় । আগের যুগে ‘ ইজাযাত ‘ বলে একটি পরিভাষা মুহাদ্দিছগণের মাঝে বহুল প্রচলিত ছিল । তারা সকল ছাত্রকেই তাদের থেকে হাদীছ বর্ণনার অনুমতি দিতেন না বরং বাছাইকৃত পসন্দের ছাত্রকেই হাদীছ বর্ণনার অনুমতি দিতেন ।

এই অনুমতিকেই আরবীতে ইজাযাত বলা হয় । ৫ ম শতাব্দী হতে হতে সকল হাদীছ লিপিবদ্ধ হয়ে গেলে এবং রিওয়ায়েতের যুগ বন্ধ হয়ে গেলে হাদীছের ক্ষেত্রে ইজাযাতের আর কোন প্রয়ােজন থাকে না । তখন মুহাদ্দিছগণের সংকলিত বই পড়ানাের জন্য উস্তাদ থেকে প্রাপ্ত অনুমতির ক্ষেত্রে ‘ ইজাযাত ‘ শব্দটি ব্যবহৃত হতে থাকে । যা অদ্যাবধি জারী আছে । আল – হামদুলিল্লাহ ! আমি ছহীহ বুখারী পড়ানাের এই অনুমতিপত্র ইমাম বুখারীর সনদে দুইজন উস্তাদের নিকট থেকে পেয়েছি আবারাে আল – হামদুলিল্লাহ । মুহাদ্দিছগণের নীতিকে বজায় রেখে অত্র বইয়ের শুরুতে আমার সনদ দু’টি উল্লেখ করে দেয়া সমীচীন মনে করছি । তবে তারপূর্বে ভারত উপমহাদেশে হাদীছের সনদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উল্লেখ না করলেই নয় ।

সারমর্মঃ(Pdf Download)

তিনশ ‘ শতাব্দী থেকেই হাদীছ চর্চার নবীর ভারত উপমহাদেশে পাওয়া যায় , যা আমরা বিস্তারিত বইয়ের শেষের দিকে আলােচনা করব ইনশাআল্লাহ । ভারত উপমহাদেশে ইসলাম আসার শুরুর দিকে সিন্ধু ও তার আশপাশে যে সঠিক ও অবিকৃত ইসলাম বিরাজ করছিল তা শী’আ প্রভাবিত বিভিন্ন শাসকদের মাধ্যমে সরকারী দমনের শিকার হয় । যার ফলশ্রুতিতে ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের পতন হয় । এই পতনের সময়ই জন্মগ্রহণ করেন শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী ( রহঃ ) । তিনি মুসলিমদের সার্বিক অবস্থা অবলােকন করত সমাধান স্বরূপ কুরআন ও হাদীছের চর্চার নতুন যুগের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন । সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআনকে মানুষের নাগালের মধ্যে আনার জন্য ফারসী ভাষায় কুরআনের তরজমা করেন ।

অতঃপর মুওয়াত্ত্বা মালেকের মত মহান হাদীছ গ্রন্থের ফারসী ভাষায় অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেন । পাশাপাশি কুতুবে সিত্তাহ সহ বিভিন্ন গ্রন্থের দারস দিতে থাকেন । তার দারস থেকে মহান আল্লাহ অনেক মহান ছাত্র ও দ্বীনের খাদেম তৈরি করে দেন । তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তার সুযােগ্য সন্তান ও ছাত্র শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী ( রহঃ ) , তিনিও দারস – তাদরীস ও লেখালেখির মাধ্যমে খিদমত জারী রাখেন । তিনি তাফসীরে আযীযী নামে ফারসী ভাষায় কুরআনের তাফসীর লেখেন । তেমনি বুস্তানুল মুহাদ্দিছীন নামে প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছগণের জীবনী ও তাদের লিখিত কিতাবের উপর তথ্যবহুল একটি গ্রন্থ রচনা করেন ।

যা মুহাদ্দিছগণ ও তাদের লিখিত গ্রন্থগুলাের সাথে ভারতবাসীকে পরিচিত করে তুলে । তার মৃত্যুর পর তার ছাত্র শাহ ইসহাক মুহাদ্দিছ দেহলভী দিল্লির দারসে হাদীছের মসনদে অধিষ্ঠিত হন । তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মক্কায় হিজরত করে চলে যান । তারপর তার জায়গায় শায়খুল কুল ফিল কুল মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভীর ( রহঃ ) -কে লিখিত অনুমতির মাধ্যমে দিল্লির ঐতিহ্যবাহী দারসে হাদীছের মসনদের উত্তরাধিকারী নিযুক্ত করে যান । যদিও তার সমকালীন কট্টর হানাফী আলেম আব্দুল গণী মুজাদ্দেদী আলাদাভাবে দারস দেয়া শুরু করেন ।

এখানে উল্লেখ্য যে , শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী ( রহঃ ) এমন অনেক কিছুই তার বইয়ে বিশেষ করে ‘ হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা’তে লিখে গেছেন কিন্তু নিজের জীবনে তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি । তার পৌত্র শাহ ইসমাঈল শহীদ ( রহঃ ) শিরক – বিদ’আত বিরােধী আন্দোলনের মাধ্যমে তা বাস্তবে রূপদান করেন । যার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত তার লিখিত দু’টি গ্রন্থ ‘ তাকৃবিয়াতুল ঈমান ’ ও ‘ তাযকীরুল ইখওয়ান ‘ । তাওহীদের পক্ষে ও শিরক – বিদ’আতের বিরুদ্ধে পাক ভারতের প্রথম নাঙ্গা তলােয়ার বলা যায় বই দুটিকে । অন্যদিকে তার জিহাদ আন্দোলনের উত্তরসূরীগণ শিরক – বিদ’আত বিরােধী এই আন্দোলনের মূল রূহকে ধরে রাখেন ।

তাদের এই আন্দোলনের মূল রূহ দিল্লীর দরসে পূর্ণ রূপে বাস্তবায়ন হয় মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভী ( রহঃ ) দারস কালে । হাদীছের উপর আমল করার ও হাদীছ চর্চার এক বিপ্লব শুরু হয় । তার নিকট পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক ছাত্র কুরআন ও হাদীছের ইলম হাছিল করেন । সুনানে তিরমিযীর শ্রেষ্ঠ ও ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাগ্রন্থ তুহফাতুল আহওয়াযীর সম্মানিত লেখক আব্দুর রহমান মুবারকপুরী ( রহঃ ) , সুনানে আবি দাউদের শ্রেষ্ঠ ও কালজয়ী ব্যাখ্যা গ্রন্থ গয়াতুল মাকৃসূদ ও আউনুল মাবুদের সম্মানিত লেখক শামসুল হক আজিমাবাদী ( রহঃ ) , এবং যাবতীয় বাতিল ফের্কার মূর্তিমান আতঙ্ক সানাউল্লাহ অমৃতসরী ( রহঃ ) এই তিনজন মহান পুরুষের সম্মানিত উস্তাদ ছিলেন মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভী ( রহঃ ) ।

তাদের হাত ধরেই ভারত উপমহাদেশে হাদীছের আন্দোলনের এক নতুন যুগ শুরু হয় । জামি’আহ রাহমানিয়া দিল্লী ও জামি’আহ সালাফিয়্যা বানারাসের মত প্রতিষ্ঠানগুলাে অস্তিত্বে আসে । তাদের উত্তরসূরী হিসাবে আবির্ভূত হন সফীউর রহমান মুবারকপুরী , ওবাইদুল্লাহ মুবারকপুরী , ইহসান ইলাহী যহির সহ অগণিত মর্দে মুজাহিদ ও ইলমের সাগর ।অন্যদিকে আব্দুল গণী মুজাদ্দেদী ( রহঃ ) যিনি শায়খুল কুল ফিল কুলের সাথে চরম শত্রুতা রাখতেন , তার আলাদা দারস থেকে ভারতে আরেক নতুন ধারা জন্ম লাভ করে । তার অন্যতম ছাত্র মাওলানা কাসেম নানুতুবী ও রশীদ আহমাদ গাঙ্গোহী ( রহঃ ) ।

তারা দুইজন মিলে দিল্লীর অদূরে দারুল উলুম দেওবান্দ প্রতিষ্ঠা করেন । অতঃপর তাদের হাতে গড়ে উঠেন ‘ শায়খুল হিন্দ নামে খ্যাত মাহমূদুল হাসান দেওবান্দী ( রহঃ ) । মাহমূদুল হাসান দেওবান্দী ( রহঃ ) -এর সুদীর্ঘ দারসী জীবনে অনেক ছাত্র তৈরি হয় তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে , বিখ্যাত মুহাদ্দিছ আনােয়ার শাহ কাশ্মীরী ও সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী ( রহঃ ) । এইভাবে দারুল উলুম দেওবান্দ সহ পাক – ভারতে এই ধারার দারস – তাদরীস চলতে থাকে । আমার নিকটে মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভী ( রহঃ ) -এর সনদে এবং তার বিপরীতে আব্দুল গণী মুজাদ্দেদী ( রহঃ ) উভয় সনদেই ছহীহ বুখারীর ইজাযাত আছে । নিম্নে সনদ দু’টি উল্লেখ করা হল ।

সবচেয়ে উঁচু সনদঃ

৫. আমাকে ছহীহ বুখারীর ইজাযাত দিয়েছেন আব্দুল খালেক সালাফী উস্তাদজী । তাকে ছহীহ বুখারীর ইজাযাত দিয়েছেন হাফেয মুহাম্মাদ গােন্দলবী । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন আব্দুল মান্নান মুহাদ্দিছে পাঞ্জাব ও আব্দুল জাব্বার গনভীর নিকট । তারা ছহীহ বুখারী পড়েছেন শায়খুল কুল ফিল কুল মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভীর নিকট ।

তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন শাহ ইসহাক মুহাদ্দিছ দেহলভীর নিকট । এই সনদে আমার এবং শায়খুল কুল ফিল কুল মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভীর মাঝে মাত্র তিনজন মাধ্যম রয়েছেন ।

উপরের সকল সনদ শাহ ইসহাক্ মুহাদ্দিছ দেহলভীর এখানে এসে একত্রিত হয়েছে । শাহ ইসহাক্ব দেহলভী থেকে ইমাম বুখারী পর্যন্ত বাকী সনদ নিম্নরূপ ।

শাহ ইসহাক মুহাদ্দিছ দেহলভী ছহীহ বুখারী পড়েছেন শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন ।

১. শায়খ আবু তাহের কুদীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

২. শায়খ ইবরাহীম কুরদীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন ।

৩. ইমাম আহমাদ কুশাশীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

৪. ইমাম শামসুদ্দীন আহমাদ শান্নাবীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

৫. ইমাম মুহাম্মাদ রামাল্লীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

৬. শায়খুল ইসলাম যাকারিয়া আল – আনছারীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

৭. হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী ( রহঃ ) -এর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

৮. ইমাম ইবরাহীম তানুখীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন ।

৯. শিহাবুদ্দীন আহমাদ সলিহীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

১০. আবু আলী হুসাইন যাবিদীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

১১. আব্দুল আউয়াল সিজীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন ।

১২. আব্দুর রহমান দাঊদীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

১৩. ইমাম আব্দুল্লাহ বিন হাম্মুওয়াহ – এর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন

১৪. মুহাম্মাদ ফিরাবরীর নিকট । তিনি ছহীহ বুখারী পড়েছেন ।

১৫. ইমাম বুখারীর নিকট । তিনি বলেন , আমাকে হাদীছ শুনিয়েছেন মাক্কী বিন ইবরাহীম । তিনি বলেন , আমাকে হাদীছ শুনিয়েছেন ইয়াযীদ বিন আবি উবাইদ । তিনি বলেন , আমাকে হাদীছ শুনিয়েছেন সালামা বিন আকওয়া ( রাঃ ) । তিনি বলেন , রাসূল ( ছাঃ ) বলেছেন , “ যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা বলল , যা আমি বলিনি , সে তার থাকার জায়গা জাহান্নামে বানিয়ে নিল৷

এই হাদীছটি বর্ণনায় আমার এবং রাসূল ( ছাঃ ) -এর মাঝে মাত্র ২৫ জন মাধ্যম রয়েছেন । ফালিল্লাহিল হামদ ।

জ্ঞাতব্যঃ

ছহীহ বুখারীর এই একটিই সনদ তা কিন্তু নয় । যেমন শায়খুল কুল ফিল কুল মিয়া নাযীর হুসাইন দেহলভীর নিকট ইমাম শাওকানীর সনদে ইজাযাত ছিল । তেমনি হাফেয ইবন হাজার আসক্বালানী ( রহঃ ) -এর নিকটে ১৪ টি সনদে ছহীহ বুখারীর ইজাযা ছিল ।

এইভাবে প্রতি স্তরে উল্লেখিত উস্তাদগণের নিকট বিভিন্ন সনদে ইজাযাত ছিল । যেমন আমি নিজেই তিনজন উস্তাদের নিকট থেকে ইজাযাতের কথা প্রথমে উল্লেখ করেছি । ঠিক তেমনি প্রতিটি উস্তাদের এই রকম কয়েকজন উস্তাদ থেকে ইজাযাত ছিল ।

এইভাবে মুতাওয়াতির সূত্রে ছহীহ বুখারী আমাদের নিকটে পৌঁছেছে । তন্মধ্যে ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ সনদটি উপরে উল্লেখ করা হল । ফালিল্লাহিল হামদ । একটি ভুল ধারণা : মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) -কে পাঠিয়েছেন । হাদীছ হচ্ছে মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) -এর দেয়া কুরআনের সেই ব্যাখ্যা । তাই বলা হয় , ইসলামী শরী’আতের দুটি মৌলিক স্তম্ভ । কুরআন এবং হাদীছ ।

এই জন্য মহান আল্লাহ যেমন কুরআন সংরক্ষণ করেছেন তেমনি হাদীছ সংরক্ষণ করেছেন । হাদীছ সংরক্ষণের অন্যতম নিদর্শন । ছহীহ বুখারী । দুনিয়ার সকল আলেম এই বিষয়ে একমত যে , ছহীহ বুখারীর প্রতিটি হাদীছ মুহাম্মাদ ( ছাঃ ) -এর হাদীছ ।

এই জন্য একজন মুসলিমের পবিত্র কুরআন পড়ার পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ছহীহ বুখারী অধ্যায়ন করা যরূরী । আমাদের দেশে প্রচলিত ভয়ঙ্কর একটি ভুল ধারণা হচ্ছে , ছহীহ বুখারী অনেক বড় কিতাব ।

বই বুঝার ক্ষমতা আমাদের নাই । এমনকি ছাত্রদেরকেও একদম শেষ বছরে ছহীহ বুখারী পড়ানাে হয় । অথচ কুরআন যেমন একজন ছাত্র জীবনের শুরুতে শিখেছে তেমনি ছহীহ বুখারী শুরুতেই পড়া উচিত । বর্তমান আরব বিশ্বে একজন ছাত্র কুরআন হিফয করার পর সর্বপ্রথম ছহীহ বুখারী অথবা ছহীহ বুখারী এবং ছহীহ মুসলিমে যে হাদীছগুলাে এসেছে সেগুলাে মুখস্থ করে ।

আলেম সমাজের প্রতি আমার বরজোড়ে অনুরােধ , আপনারা সিলেবাস পরিবর্তন করুন ! ছাত্রদের জন্য কুরআনের পরপরই ছহীহ বুখারী পড়ার ব্যবস্থা করুন । বর্তমান যুগে এমন অনেক গ্রন্থ আছে যেগুলােতে ছহীহ বুখারীর হাদীছগুলাের সনদ এবং বারংবার উল্লেখিত হাদীছ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র হাদীছের মূল মতন উল্লেখ করা হয়েছে । ছাত্রদের জন্য যা বুলুগুল মারাম ও মিশকাতুল মাছবীহের মত সহজ হবে ।

ফলত তারা জীবনের প্রথমেই জাল ও যঈফ হাদীছের ছোঁয়া থেকে মুক্ত থাকবে । পবিত্র কুরআন ও ছহীহ বুখারীর মত সর্ব বিশুদ্ধ দু’টি গ্রন্থের ছোঁয়ায় তাদের জীবন আলােকিত হয়ে উঠবে ।

অনেকেই অভিযােগ করেন বাংলা বুখারী পড়ে নিজে থেকে বুঝতে গিয়ে অনেক মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে , তাই সাধারণ জনগণের ছহীহ বুখারী পড়া উচিত নয় । তাদের অভিযােগ চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার জন্যই ছহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা বাংলায় লেখা শুরু করেছি । আলহামদুলিল্লাহ । সাধারণ জনগণ চাইলে এই ব্যাখ্যা গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে ছহীহ বুখারী পড়তে ও বুঝতে পারবেন । যা তাদের জন্য হেদায়াতের আলােকবর্তিকা হবে ইনশাআল্লাহ ।

Minnatul bari books Pdf download

অনলাইনে বইটি পড়তে —Reading

App Box থেকে minnatul bari pdf download করুন নিচ থেকে

Download

or

Download

নিচ থেকে সকল ইসলামিক বই pdf download করুনঃ-

মুজাফফর বিন মুহসিন সকল বইয়ের পিডিএফ || ডঃ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব || শহীদুল্লাহ খান মাদানী || ড. আবূ বকর মোঃ জাকারিয়া মজুমদার || আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ || আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী || ব্রাদার রাহুল হোসেন || ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর || আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল রাজ্জাক||ডা:জাকির নায়েক

যেভাবে pdf download ডাউনলোড করবেন-দেখুন

বইটি পড়ে ভালো লাগলে রকমারি থেকে বইটি ক্রয় করুন —কিনুন

FAQ

1. মিন্নাতুল বারী বইটির লেখক কে?

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক

2. বইটি কোন প্রকাশনীর?

নিবরাস প্রকাশনী

3. মিন্নাতুল বারী বইটির দাম কত?

রকমারিতে ২৫০ টাকা ৷

4. How to download Pdf file?

বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন ৷