খোয়াবনামা-আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর বই pdf download book

Rate this post

Khoabnama Book pdf download by Akhteruzzaman Elias.আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর বই “খোয়াবনামা” Pdf from tunetuni.

খোয়াবনামা উপন্যাস(pdf download) রিভিউঃ

বইয়ের নামঃ খোয়াবনামা

লেখকঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস

প্রকাশিতঃ মওলা ব্রাদার্স

প্রকাশকঃ ১৯৯৬

পাতা সংখ্যাঃ ৩৪৬ টি

সাইজঃ ১৩ এমবি

ক্যাটাগরিঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস pdf, উপন্যাস

pdf download

খোয়াবনামা উপন্যাসের বিষয়বস্তু(Pdf Download)

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ” খােয়াবনামা ” উপন্যাসটি চমৎকার লেগেছে । এ উপন্যাসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।এ উপন্যাসের পটভূমি হলাে গত শতকের চল্লিশের দশক । চারিদিকে তখন চলছে দুর্ভিক্ষ।ফকির – সন্ন্যাসী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত যমুনা তীরে জেলে – মাঝি – কৃষকের জীবনকে আশ্রয় করেই বেড়ে উঠেছে এ উপন্যাস ।

আরও ডাউনলোড করুনঃ দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি pdf

খােয়াবনামা একদিকে যেমন তেভাগা আন্দোলন , অন্যদিকে তেমন পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যকার সময়ে গ্রামীণ জীবনের কাঙ্ক্ষিত – অনাকাঙ্ক্ষিত চিহ্নগুলােকে ফুটিয়ে তুলেছে বিস্তৃতভাবে । অন্যভাবে পর্যলােচনা করলে দেখা যায় , স্বপ্নের পাকিস্তান যে অচিরেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় বাঙালি মুসলমান কৃষকের চোখের সামনে , তারই এক অনন্য কাহিনী এটি । উপন্যাসের দুটি চরিত্র তমিজ ও ফুলজান তারই নগণ্য প্রতিনিধি ।

রিভিউঃ

খােয়াবনামা আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের একটি বিখ্যাত উপন্যাস । এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে , বইটি প্রকাশিত হয় মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে । একই বছরের এপ্রিলে বইটি বেরােয় পশ্চিমবঙ্গের নয়া উদ্যোগ প্রকাশনী থেকে । ওই বছরই উপন্যাসটি প্রফুল্ল কুমার সরকার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার এবং সাদাত আলী আকন্দ পুরস্কার লাভ করে।এই উপন্যাসটি মূলত বঙ্গভঙ্গ ( ১৯৪৭ ) -এর কিয়ৎকাল পূর্ব এবং পরবর্তী সময়কাল নিয়ে রচিত । এর । কাহিনী বিস্তৃতিলাভ করেছে বগুড়া জেলার একটি ক্ষুদ্রাকার ও প্রত্যন্ত জনপদে ।

অঞ্চলটির কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিল , যার নাম কাৎলাহার ; এবং কালাহার ঘিরে গড়ে উঠেছে গিরিরডাঙা , নিজগিরির ডাঙা , গােলাবাড়ি হাট ইত্যাদি পল্লীসমূহ । এইসব জনপদে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা ফকির – সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বিষয়ক বিভিন্ন শ্রুতি বা লােককথা , জোতদারি সমাজব্যবস্থা , তেভাগা আন্দোলন , দেশভাগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি , হিন্দু – মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক ও সংকট প্রবৃত্তি এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য । কাহিনীর প্রয়ােজনে এবং বাস্তবতার নিরিখে এতে আরও যুক্ত হয় সাধারণ গ্রাম্য মানুষের অসহায়ত্ব , কাম , ক্ষোভ , ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ , এমনকি অজাচার ।

রিভিউঃ(Pdf Download)

আজকের এই এতকিছুর জন্ম কোথা থেকে ? আমার বিশ্বাস , ক্ষুধা থেকে । মানুষ প্রথম যে প্রয়ােজনীয়তা মেটাতে চায় , সেটা ক্ষুধা । পেটে খাবার থাকলে তখন আসে যৌনতা । আর দুটো বিষয় যদি মােটামুটিভাবেও মিটে যায় , তখন মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে । নানা রকমের স্বপ্ন । সুখের স্বপ্ন , সমৃদ্ধির স্বপ্ন । মানুষ যত এগিয়ে যায় তার স্বপ্ন তত বড় হয় । সে যত পায় , পায় খােয়াব তত বদলে যায় । মানুষের সেই খােয়াব নিয়েই ইলিয়াসের ‘ খােয়াবনামা ‘ ।

মানুষের মাঝে বাঙালীরা বােধয় খােয়াব একটু বেশি দেখে । তারা ঘুমিয়ে খােয়াব দেখে , জেগে জেগে খােয়াব দেখে । সেই খােয়াবে মিশে থাকে ইতিহাস , পুরাণ , ঘটে যাওয়া নানা বিষয় । কিছু কথা , উপকথা মানুষকে এতােটা বেঁধে ফেলে যে সে এখান থেকে বের হতে পারে না কখনও । তার খােয়াব ঘুরপাক খায় ওই নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে । তমিজের বাপ এমনই এক লােক ।

তমিজের বাপ আবার , মানে বােকা । তার কেবল খাওয়ার চাহিদা । পেট পুরে ভাত খেতে পারলেই হয় । বাকি আর কিছু চায় না । বুড়াে মানুষটার পাশে যুবতী বৌও তার মাঝে কোন আকাঙ্ক্ষা জাগায় না । তমিজের বাপের খাওয়া মিটে গেলে ঘুমিয়ে থাকে , কিংবা জেগে জেগে খােয়াব দেখে । সে খােয়াব হলাে মুনসির খােয়াব । যে নাকি কাৎলাহার বিলের পাশে পাকুড় গাছে উঠে আশ্রয় নিয়েছে । সেখানেই তার আরশ ।

আদতে ইলিয়াস এই তমিজের বাপের মধ্যে এঁকেছেন আবহমান বাংলার এমন কিছু মানুষের কথা , যারা তাদের বিশ্বাসের মধ্যে এতােটা ঢুকে থাকে যে দুনিয়ার বাস্তবতা তাদের কাছে কোন অর্থ বহন করে না । তমিজের বাপ চিনত বিল , বিলের মাছ আর চেরাগ আলী মুনসিকে । সেখানেই সে থেমে ছিল তার বাকিটা সময় । জীবনভর সে ওই নিয়েই থেকে গেছে । এদিকে বদলে যাওয়া সময়ের স্রোতে ভেসেছে তার উত্তরপুরুষ তমিজ ।

সে খিয়ারে গেছে ধান কাটতে । মাঝির সন্তান । হয়েও এক সময় জমি চাষ করে সে থিতু হওয়ার খােয়াব দেখেছে । সেই সঙ্গে খিয়ারে কাজ করতে গিয়ে সে উদবুদ্ধ হয়েছিল নতুন দিনের চেতনায় । মানুষের অধিকারের আদায়ে তার রক্তের মধ্যে প্রতিবাদ এসে জমেছিল । কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়েই এখানে ক্ষমতার নানা ব্যবহার চলে । সেই ক্ষমতার প্রতিভূ শরাফত মণ্ডল । প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভূমির মালিকদের দাপট , তাদের ক্ষমতার ব্যবহার এবং মানুষকে দাবিয়ে রাখার প্রবণতা তার মাঝে দেখা যায় । কিন্তু সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে ।

কালাম মাঝিদের মতাে মানুষদের খােয়াব থাকে নিজেকে বড় করে তােলার । সে খােয়াব তারা পূর্ণ করে । এরই মাঝে যারা ক্ষেত , বিল , গ্রামের হাট থেকে বেরিয়ে শহরের বাতাস গায়ে লাগায় , তারা বৃহত্তর পরিমণ্ডলের হাওয়া গাঁয়ে ছড়িয়ে দেয় । তখন কারও কারও মনে পাকিস্তান কায়েম করার খােয়াব জাগে । সে খােয়াব সত্য মনে হয় যখন লীগের লােকজন এসে তাদের তাতিয়ে যায় , আশ্বাস দিয়ে যায় । (Pdf Download)

তখন খােয়াব ভেঙে যায় কারও কারও । পুরাতন আনন্দবাজারের খবরে কলকাতায় মুসলমান হত্যার খবরে এখানেও মারা যায় অনেকে । সেখান থেকে ভেঙে যায় আরও খােয়াব । কিন্তু এসব খােয়াবের সাথে কোন সংযােগ নেই কুলসুমের । কেননা সে জীবনে প্রায় কিছুই দেখেনি । সে দেখেছে তার দাদা চেরাগ আলীকে , দেখেছে তমিজের বাপকে । একজন শােলােক লিখে গেয়ে বেড়াত , অন্যজন সেই শােলােকে কী পেয়েছিল , কুলসুম কোনদিন বােঝেনি । কিন্তু তার সেই দেখা জগতের মাঝেই ঘুরে বেড়াতে থাকে কুলসুম ।

ভাঙা গড়া আর মানুষের একান্ত খােয়াবের মধ্য থেকে বৃহত্তরের ব্যঞ্জনা নিয়ে আসা গল্প , ইলিয়াসের ‘ খােয়াবনামা ‘ । ইলিয়াসকে নিয়ে লেখা সহজ না , সে ধৃষ্টতা করবাে না । তবে খােয়াবনামা নিয়ে কিছু বলাই যায় । অনেক কিছু বলেও ফেলেছি । তারপরও কিছু বাকি থাকে । লেখকের এই উপন্যাসের ভাষা তার ‘ চিলেকোঠার সেপাই ‘ থেকে আলাদা । একদম প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের মুখের ভাষায় লেখা এ উপন্যাস ।

লেখায় লেখকের সততা বলে একটা ব্যপার আছে । আমাদের আজকের দিনের লেখায় সে জিনিসটা নানা কারণে অনুপস্থিত । সে নিয়ে পরে কখনও বলা যাবে । বিষয়টা একটু বিস্তৃত । তবে ইলিয়াসের ‘ খােয়াবনামা ‘ পড়লে বােঝা যায় একজন লেখক তার লেখার প্রতি কতটা সৎ হতে পারেন কিংবা ভাবলে অবাক হতে হয় ।

যে কতটা সৎ হলে এমন একটা উপন্যাস লেখা যায় । ইলিয়াসের লেখায় জাদুবাস্তবতা আছে কিনা , সে নিয়ে তর্ক হতে পারে । কিন্তু ইলিয়াস তার ‘ খােয়াবনামা’য় নানা জায়গায় অসাধারণ ঘাের সৃষ্টি করেছেন । কালাহার বিল , পাকুড় গাছ , তার আশপাশ দিয়ে তমিজের বাপের ঘুরে বেড়ানাের বর্ণনায় অবশ্যই ঘাের তৈরি হয় । (Pdf Download)

তেমনি ঘাের তৈরি হয় যখন কালাম মাঝি চড়ে বসে কুলসুমের উপর । চরিত্র সৃষ্টি এবং চিত্রণে ইলিয়াস অসাধারণ কিছু কাজ করে গেছেন । ‘ চিলেকোঠার সেপাই ‘ উপন্যাসে হাড্ডি খিজিরের পর এই উপন্যাসে অবাক করা চরিত্র এই তমিজের বাপ । একটা মানুষ প্রায় কোন কথা না বলে , কোন জায়গায় থেকে জুড়ে আছে পুরাে উপন্যাসে । হাড্ডি খিজির যতটা ‘ অ্যাকটিভ ‘ ছিল , তমিজের বাপ ততটাই ‘ প্যাসিভ ।

এই থেকে না থাকা বা না থেকেও থাকাটা সবচেয়ে বড় ম্যাজিক ছিল ‘ খােয়াবনামা ‘ – র । শেষটা করবাে একটা প্রশ্ন দিয়ে । প্রশ্নটা হলাে , মানুষের সবচেয়ে বড় খােয়াব কী ? উত্তরটা দিয়ে দেই । মানুষের সবচেয়ে বড় খােয়াব বলাে , ‘ খাদ্য । শরাফত মণ্ডলের ছেলেরা বড় মানুষ হয়ে যেতে পারে ।

কালাম মাঝি নিজেকে তুলতে পারে নতুন উচ্চতায় । প্রেমে পড়ে কিংবা ছন্নছাড়া হয়ে কেরামত জেলে যেতে পারে । ভাবের আবেশে থাকা মানুষ বৈকুণ্ঠ হতে পারে পাকিস্তান আন্দোলনের বলি । নতুন পাকিস্তানে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পারে তমিজ । একদিন হঠাৎ যােগ দিতে পারে তেভাগায় । এতােসব মহৎ কিংবা স্বার্থপর খােয়াব থেকে অনেক দূরে তমিজের মেয়ে সখিনা গিয়ে দাঁড়ায় । উইঢিবিতে । সেখান থেকেই সে দেখে দূরে জ্বলা একঝাঁক জোনাকি । সখিনার মা ফুলজানেরও মনে হয় ওখানে জোনাকির আগুন জ্বালিয়ে হেঁশেল ধরিয়েছে কেউ ।

কে সে ? সে তমিজের বাপ হবে । কেননা মুনসির খােয়াব হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগেই । গ্রামের নতুন কিংবদন্তী তমিজের বাপ । যে কিনা সখিনার দাদা । তাই হয়ত সখিনা , ফুলজান কিংবা অন্য নামের কোন একজন মানুষ , আবহমানকাল ধরে এমন করেই কারও উপর ভরসা করে থাকে । উনুন জ্বলবে । ভাত হবে । পেট ভরবে ।

Download Khoabnama PDF Book by Akhteruzzaman Elias

Khoabnama Download from google drive

Download

Khoabnama pdf Download from mediafire

Download