চিকিৎসা বিষয়ক বই ডা. শ্যামল চক্রবর্তী খাাবার যখন রোগ সারায় pdf books free Download. ডাক্তারী ও চিকিৎসা বিষয়ক সকল বই পেতে প্রতিদিিন Tunetuni visit করুন৷
খাবার যখন রোগ সারায় বইয়ের রিভিউঃ (Pdf Books)
বইঃ খাবার যখন রোগ সারায়(চিকিৎসা বিষয়ক বই pdf)
লেখকঃ ডা. শ্যামল চক্রবর্তী
প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত)
ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল(Pdf)
ক্যাটাগরিঃ ডাক্তারি ও চিকিৎসা বিষয়ক বই

স্বপ্ন দেখেন কেন || কোন অসুখে কী খাবেন || হাতের মুঠোয় ডায়াবেটিস || রক্তচাপ কোলেস্টেরল হার্টঅ্যাটাক || টেনশন থেকে মুক্তি||ডাক্তার ডাকার আগে||কোন বাচ্চা কী খাবে||ব্যথা থেকে মুক্তি||পেট নিয়ে ভাবুন কম||মেধা মনন বোধ বুদ্ধি||নিদ্রা অনিদ্রা অতিনিদ্রা||স্কুল কলেজের যৌনশিক্ষা||মেয়েলি রোগ||স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হলে Pdf Books
প্রাঃ চীন ভারতে চরক , সুশ্রুত ও পরবর্তী আয়ুর্বেদীয় যুগ থেকে নানা ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য – মশলা ইত্যাদিতে রােগ নিরাময় ও প্রতিরােধ ব্যবহারের যে – বিধান দেওয়া আছে , আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান তাকে গবেষণার আলােয় যাচাই করতে এগিয়ে এসেছে । বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এই কাজ । ফাইটোথেরাপি বা ভেষজ চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ শাখা খাদ্য – চিকিৎসা এখন এক গবেষণানিষ্ঠ চিকিৎসাব্যবস্থা । প্রতিষ্ঠিত এবং সম্ভাব্য কিছু খাদ্যৌষধ নিয়ে লেখা হয়েছে এই গ্রন্থ । অ্যালজাইমার রােগের প্রতিরােধে ও চিকিৎসায় সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শশারগােল তােলা হলুদ থেকে শুরু করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত খাবারদাবার যে – কোনও খাদ্যৌষধের বিস্তারিত হালহদিশ এই গ্রন্থে পাওয়া যাবে ।
বাংলা ভাষায় খাদ্যৌষধ নিয়ে লেখা এমন বই এই প্রথম । কার্যকরী ওষুধসংবলিত খাবার – মশলা – খাদ্য উপকরণের খাদ্যগুণ ’ প্রাচীন – এর অচলায়তন ভেঙে কীভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের আলােয় নির্ভরযােগ্য ‘ মেডিসিন ’ হয়ে উঠেছে , তার অনুপুঙ্খ আলােচনা এই বইয়ের সম্পদ । যে – কোনও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে এই পরিশ্রমসাধ্য গ্রন্থটি গাইডবুকের মর্যাদা পাবে ।
খাবার যখন রোগ সারায় বইয়ের সূচিপত্রঃ(Pdf Books)
- সূচি খাদ্য পথ্য অসুখ আর ওষুধ
- জারণরােধক খাদ্যকথা : অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
- ওষুধ যখন আদা
- মধুমেহতে ওষুধ মেথি
- ওষুধ লঙ্কার তেজে
- হার্টকে বাঁচায় অলিভ অয়েল
- শরীর বাঁচাতে ফাইবার
- ওষুধ যখন পেঁয়াজ রসুন
- হৃদরােগ আটকাতে গাজর
- ওষুধ যখন টম্যাটো
- স্মৃতিলােপ আটকায় হলুদ
- মাছ খেয়ে বাঁচুক হৃদয়
- মেয়েলি রােগে ওষুধ সয়াবিন
- ক্যানসার রুখুন খাদ্যগুণে
- ক্যানসার আটকাতে চা
- খাবারে ওষুধ
- সহজ রান্না
- প্রশ্নোত্তরে খাদ্যৌষধি
- রােগ আটকাতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
- আদার বিস্তারিত উপাদান
- একনজরে ওষুধ আদা
- ভােজ্য তেল বা ফ্যাটে ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা
- সুস্থ থাকতে ফাইবার
- একনজরে ওষুধ রসুন
- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যেসব মাছে
- বাংলায় লভ্য মাছের পুষ্টি
- ইলিশ মাছের পুষ্টিগুণ
- স্ত্রী – উপসর্গ প্রতিরােধে প্রাকৃতিক খাদ্যৌষধি
- খাবার বা নেশা থেকে ক্যানসার
- কোনটা বেশি খাবেন , কোনটা কম
- ক্যানসার আটকাতে খাওয়াদাওয়া
- ক্যানসার আটকাতে খাদ্যৌষধি
- কোন ক্যানসার রুখতে কোন খাদ্য
- চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
- একনজরে চায়ের ঔষধিগুণ
- খাদ্যগুণ অটুট রাখতে , অবিকৃত রাখতে খাদ্যৌষধি
- রােগ আটকাতে খাওয়াদাওয়া
খাবার যখন রোগ সারায় বইয়ের একাংশঃ(Pdf Books)
খাদ্য পথ্য অসুখ আর ওষুধ প্রাচীন ভারতে অধ্যাত্মচেতনার পাশাপাশি বিজ্ঞানচেতনার যে ক্রমবিকাশের প্রয়াস তাকে আবহমান ভারতীয় সংস্কৃতির সারকথা বলা যায় । চিকিৎসাবিজ্ঞানের সেই অন্ধকার সময়ে , বিজ্ঞানের সেই প্রাক – উষালগ্নে , ভ্রাম্যমাণ ভারতীয় চিকিৎসকদের অন্ধকার অ – বিজ্ঞান থেকে বিজ্ঞানের আলাের দিকে এগিয়ে যাবার আন্তরিক তথা কষ্টসাধ্য প্রয়াস থেকে আজও আমাদের , ভারতবাসী মানুষের , শেখার আছে অনেক । শেখার আছে হাজারটা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এক জায়গায় স্থাণু হবার পরিবর্তে প্রাচীন ভারতীয় বৈদ্যদের প্রকৃতিজাত জ্ঞানকে আরও বিকশিত করার , আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার নিরলস চেষ্টার ইতিহাস থেকে ।
প্রচলিত ধারণায় সেকালের পণ্ডিতদের একমাত্র দর্শন ছিল অধ্যাত্মচেতনার বিকাশ ঘটিয়ে মােক্ষলাভ । এ ধারণা ভ্রান্ত । যাগযজ্ঞ , ধর্মাচারের মাধ্যমে ধর্মের খেয়াকে গতিবান করে জীবনের মূল সত্যে উত্তরণের পাশাপাশি বিজ্ঞানচেতনার বিকাশ ঘটিয়ে জীবন – সত্যের আরও গভীরে পৌঁছে যাবার একটা ধারা ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিল প্রাচীন ভারতীয় পণ্ডিতদের অন্তত একাংশের মধ্যে । এঁরাই ভারতীয় তথা সারা বিশ্বের চিকিৎসাবিজ্ঞানের আদি পুরুষ ।
রাজস্তুতি – দেবস্তুতি- যজ্ঞকথা – মােক্ষকথার সংস্কারের আড়ালে সেকালের ভারতীয় ভেষজবিদরা সুকৌশলে রক্ষা করে গেছেন বিজ্ঞান তথা চিকিৎসাবিজ্ঞানের সংস্কারমুক্ত আলােকবর্তিকাকে । শুধু রক্ষা করেননি , বিজ্ঞানের আলােয় চরম দক্ষতায় এগিয়েছেন জীবনের মূল সত্যের দিকে । চরক সংহিতায় তাই জ্ঞান বা বিদ্যা ’ বলতে শুধু যাগযজ্ঞ , মােক্ষলাভ বা ধর্মকথার আলােচনা নয় , বিজ্ঞান বা শারীরতত্ত্বের আলােচনাও । আরও নির্দিষ্ট করে বললে , ধর্ম ও অধ্যাত্মবাদের আড়ালে পরম মমতায় বিজ্ঞানকে খাদ্য – পুষ্টি জুগিয়ে বিজ্ঞানচেতনাকে আরও পুষ্ট করে তােলার অনুশীলন ছিল সেকালের বিজ্ঞানীদের মূল লক্ষ্য । এ পর্যন্ত লিখে একবার বাথরুম থেকে ঘুরে এসেই দেখি প্রমথজ্যাঠা এসে পড়েছেন ।
শুধু এসে পড়েননি , পড়েও ফেলেছেন আমার ডায়েরির খােলা পাতাটা । আমাকে দেখেই জিভ কাটলেন লজ্জায় , ‘ খাইছে ! এই যে দেখি ভূতের মুখে রাম নাম ! তুমি ও তাইলে শ্যা পর্যন্ত ধর্মে আস্থাবান হইলা নীল , ব্যাশ ব্যাশ ! বিস্ময়ে আর আনন্দে এককালের ‘ ঢাকার পােলা ’ জ্যাঠার মুখটা ঠিক যেন বিধাননগরের বিশাল রস টসটস আনারস । কাল টাটানগর থেকে আমাদের বাড়িতে এসেছেন সােনাদাদু , প্রায়ই যেমন আসেন । প্রমথজ্যাঠার কথা কানে ঠাট্টায় নিজেই একচোট হেসে নিলেন আনপ্যারালাল প্রমথজ্যাঠা । সােনাদাদু বললেন , ‘ তাের হােম ওয়ার্কটা সেরে নে । চরক আর সুশ্রুতের কথা আমাদের বল । ‘ চরক ’ বলতে যাঁরা ঘুরে বেড়ান অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ । বৈদ্যের দল ।
চরক বলে কোনও একজন বৈদ্য প্রাচীন ভারতে ছিলেন এমন প্রচলিত ধারণা সম্ভবত ঠিক নয় । সুশ্রুত ’ বলতে যাঁরা গুরুর কাছে শােনা ভেষজ ও শল্যবিদ্যার তথ্যাদি ভাল করে শুনে ( সু + ত ) ধরে রাখতেন স্মৃতিতে । প্রাচীন ভারতের ভ্রাম্যমাণ ভিষকের দল ঘুরে ঘুরে চিকিৎসার পাশাপাশি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করতে করতে গাছ – গাছড়া , জীব – জন্তুর মাংস , ফলমূলের মধ্যে অনুসন্ধান করে বেড়াতেন ঔষধিগুণ । এককথায় , এঁরা ছিলেন প্রকৃতি – বিজ্ঞানী ।
চরক সংহিতা আর সুশ্রুত সংহিতা ’ , প্রাচীন চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই দুই আকরগ্রন্থ যে বহুকাল ধরে বহু ভিষকের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের সমাহার— এ মত এ বিষয়ে বিশিষ্ট গবেষকদের । তবু চিকিৎসাবিজ্ঞানের সেই প্রাক – উষালগ্নে এই দুই আকরগ্রন্থে চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কে হাজারটা মূল্যবান তত্ত্ব আর তথ্যের উপস্থিতি প্রাচীন ভারতের বৈদ্যকুলের আশ্চর্য ধীশক্তি আর অন্তদৃষ্টির প্রতিফলন ।
চরক সংহিতায় দেহ – শরীর – স্বাস্থ্য সম্পর্কে নানা তত্ত্ব আছে , আছে রােগ – রােগী – সেবিকা – পথ্য আর চিকিৎসকের সম্পর্কের কথা । নানা ধরনের রােগে ভেষজ ওষুধ আর পথ্যের বর্ণনা শুধু নয় , এমনকী দু ধরনের ডায়াবেটিসের বিবরণও আছে এতে । ডায়াবেটিসের এ রকম শ্রেণীবিভাগ পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানে প্রথম সম্ভব হয়েছে । চরক – সুশ্রুত ’ – এর আরও প্রায় আড়াই হাজার বছর পরে । খালিহাতে , কোনও পরীক্ষা – নিরীক্ষার সুযােগ ছাড়া , শুধু পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার গুণে মধুমেহ রােগীদের দুভাগে ভাগ করে তা লিপিবদ্ধ করা শুধু নয় , দু রকম ডায়াবেটিসের সবিস্তার বিবরণ রয়েছে চরক সংহিতা’য় ।
সুশ্রুত সংহিতায় রােগ ও রােগীর তত্ত্বের পাশাপাশি আছে শব ব্যবচ্ছেদ ( মড়া কাটা ! ) এর বিস্তারিত নির্দেশ । খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ষষ্ঠ শতাব্দীতে লেখা এই গ্রন্থে রয়েছে রােগ সারাতে নানা ধরনের শস্ত্র ( Instrument ) – র সচিত্র বিবরণ , এগুলাের ব্যবহার সম্পর্কিত মূল্যবান নির্দেশ ও ভেষজ ওষুধপত্রের কথা । আছে নবনাসিকা নির্মাণ ’ বা রাইনােপ্লাসটির মতাে আধুনিক অস্ত্রোপচারের কথা । শুধু তাই নয় , মস্তিষ্কের কৃমি বার করতে প্রাচীন ভারতে মাথার খুলি ফুটো করে জটিল অস্ত্রোপচার ( ক্রেনিওটমি ) -এর সাফল্যের আভাস রয়েছে প্রাচীন অন্য এক গ্রন্থে ।
চোখ কপালে উঠে গেছে প্রমথজ্যাঠার ! বারবার হাত দুটো জড়াে করে ঠেকাচ্ছেন কপালে । ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করে , না চরক – সুশ্রুতকে , বোেঝা যাচ্ছে । ! রঘুদা ঘরে ঢুকতেই ফ্রেঞ্চ – টোস্টের গন্ধে ভরে উঠল ঘর । একটুও সময় নষ্ট করে ফ্রেঞ্চ – টোস্টে মন দিলেন প্রমথজ্যাঠা । দাদু আগে চুমুক দিলেন চায়ের কাপে । চা ফ্রেঞ্চ – টোস্ট শেষ করে সােনাদাদুর নির্দেশে বুদ্ধিতে প্রকৃতির স্পর্শ পেতে চলে যেতে হল গঙ্গাপারের স্ট্যান্ডে ।
নদীরপারে শরৎকাল বােঝা যায় কংক্রিটের এই জঙ্গলেও । হিমের পরশ গায়ে মাখতে মাখতেই চলে এলেন মুখুজ্জেমশায় । সােনাদাদু পড়লেন আমাকে নিয়ে , এবার শুনব রােগ , খাদ্য , পথ্য আর ওষুধের কথা । যতটা বুঝতে পারব আমরা , সেভাবে বল৷