ইহুদী জাতির ইতিহাস বই pdf download

3.4/5 - (5 votes)

ihudi jatir itihas book by Abdullah ibn Mahmud pdf download from tunetuni.

ইহুদী জাতির ইতিহাস বইয়ের বিবরনঃ pdf download

বইঃ ইহুদী জাতির ইতিহাস বই pdf

লেখকঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ বই pdf

প্রকাশনীঃ ছায়াবীথি এর বই pdf

ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল(Pdf)

ক্যাটাগরিঃ ইহুদী জাতির ইতিহাস বই pdf

আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ এর বই pdf

pdf download

ইহুদী জাতির ইতিহাস বইয়ের রিভিউঃ pdf download

বইটাকে মূলত দুইভাগে ভাগ করা যায়ঃ ইহুদী জাতির ১. খ্রিস্টপূর্ব ইতিহাস ও ২ খ্রিস্ট পরবর্তী ইতিহাস । তবে বইটি মূলত খ্রিস্টপূর্ব ইতিহাস নিয়েই বেশি আলােচনা করেছে । লেখক এ কথা নিজেই স্বীকার করে বলেছেন ২ নং পয়েন্টটি নিয়ে তিনি পৃথকভাবে লিখতে চান ।

ইহুদী জাতির শুরুটা কিভাবে হলাে এখান থেকেই আলােচনা শুরু । পরবর্তীতে লেখক আস্তে আস্তে আলােচনা টেনেছেন বনী ইসরাঈলরা মিসরে যাবার আগে কী অবস্থায় ছিল । মিসরে যেয়ে কী হয়েছে । আবার মিসর থেকে বের হয়ে পবিত্র ভূমিতে তাদের যাত্রা কেমন ছিল সে প্রসঙ্গে ।

ইয়াকুব ( আ ) থেকে শুরু করে কিভাবে তাদের কাহিনী মূসা ( আ ) , দাউদ ( আ ) , সুলাইমান (আ) সহ আরাে অনেক নবী পর্যন্ত গড়ালাে তার ধারাবাহিক একটা বর্ণনা রয়েছে বইটির প্রথম অর্ধাংশে । আমার ভালাে লেগেছে বইটিতে লেখক অনেক সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে দিয়েছেন যা সেখানে প্রাসঙ্গিক ।

যেমনঃ অধ্যায় ১ এ ইহুদীদের সাথে প্যাগাদের সম্পর্ক কি ? কিংবা অধ্যায় ৪ এ ইউসুফ – জুলেখা টিভি সিরিয়ালে ইউসুফ ( আ ) এর নাম Yozarsif পাওয়া যায় , এর ব্যাখ্যা কি । এতে করে পাঠক হােলিস্টিক একটা ধারণা পান বইটার ব্যাপারে ।

বইটার বেশিরভাগ অধ্যায় কাহিনী নির্ভর , কিছু অধ্যায় একেবারে ইতিহাস ভিত্তিক যেমনঃ অধ্যায় ৫ মসজিদুল আকসা আর বাইতুল মুকাদ্দাসের ইতিবৃত্ত কিংবা অধ্যায় ৩৩ ইসরাইল ফিলিস্তিন সংঘাত । দুই জায়গাতেই লেখক সমান পারদর্শীতা দেখিয়েছেন । কিছু জায়গায় কাহিনীকে ফুটিয়ে তুলতে লেখক আশ্রয় নিয়েছেন কাল্পনিক ভাবপ্রবণতার । যেমনঃ পৃষ্ঠা ৩৭ এ জুলাইখার বর্ণনা লেখক শুরু করেন এভাবেঃ ‘

রাজকুমারী রাঈলের ঘুম হঠাৎ ভেঙে গেল মাঝরাতে । ঘুম ভাঙার কারণটা স্পষ্ট মনে পড়ছে । এক পরম সুদর্শন পুরুষ দেখা দিয়েছিলেন তার স্বপ্নে ।

সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয় হলাে লেখকের রেফারেন্স টানার প্রবণতাটা । লেখক চাইলে একটা ঘটনা কুরআন শরীফে আছে , তাই ওইটা ওখানে যেভাবে বলা আছে । সেভাবে বলে দিয়ে পার পেয়ে যেতে পারতেন । কিন্তু তিনি তা করেননি । বরং একই ঘটনা বাইবেল , তাওরাত , মিদ্রাশ , তাফসির ইবনে কাসির , ইহুদী কাব্বালাহ বা তালমুদে কিভাবে কোন নামে বর্ণিত আছে তা লেখক খুটিয়ে বের করেছেন যা বেশ পরিশ্রমসাধ্য একটি কাজ ।

তবে এতে পাঠকের জন্য যে সুবিধাটা হলাে যে ইহুদীদের সম্পর্কে এতদিনের অনেক জানা ও অজানা ঘটনা তারা শুধু একটি ধর্মগ্রন্থের আলােকে দেখতে পাচ্ছেন না , তারা এটাকে দেখছেন ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম এটাকে কিভাবে দেখছে তার আলােকে । ফলে একটা সুনির্দিষ্ট ধারণা অনেক বেশি পােক্ত আকারে পাঠকের কাছে ধরা দিচ্ছে ।

যেমনঃ হযরত সুলাইমান ( আ ) এর সম্পর্কে যদি আসি । বাইবেলের ফার্স্ট বুক অব কিংসে শেষ বয়সে তার নামে মূর্তিপূজার অভিযােগ ওঠে কিন্তু ইসলামে আবার সুলাইমান ( আ ) এর নামে বলা হয়েছে , তিনি কখনাে ‘ কুফরী ‘ বা অবিশ্বাস করেন নি । ইউসুফ – জুলাইখার সর্বজনবিদিত কাহিনীতে জুলাইখা সম্পর্কে যখন বাইবেল বা কুরআনে কিছু পাওয়া যায় নি আর তখন লেখক আশ্রয় নিয়েছেন অ্যাপােক্রাইফার ।

এভাবে একই ঘটনা কোন গ্রন্থে কীভাবে বর্ণনা করা আছে তা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন । তাছাড়া বর্তমান কালের সাথে সামঞ্জস্য যদি থাকে তাহলে সেখানেও বর্তমানের উদাহরণ টানতে তিনি ভােলেন নি । যেমনঃ দ্বিতীয় র্যামেসিজ এবং ফারাও মারপেতাহের মধ্যে কার সমুদ্রে ডুবে মরার সম্ভাবনা বেশি যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে যে কে আসলে মূসা ( আ ) এর সময়কার ফিরআউন ছিলেন সে সম্পর্কে বর্তমানকালের একটি গবেষণা তুলে ধরেছেন ।

আমার কাছে এটাও ভালাে লেগেছে যে একটা ঘটনা শুধু ধর্মগ্রন্থে লিখা আছে বলে লেখক এটাকে ছেড়ে দেন নি বরং তা ঐতিহাসিকভাবে কিভাবে বর্ণিত হয়েছে ( অবশ্যই ধর্মগ্রন্থের বাইরে ) তার ব্যাখ্যা লেখক বারংবার টেনেছেন । যেমনঃ শেবার রানীর বর্ণনা লেখক শুরু করেছেন । লােককাহিনী থেকে আর পরে তা শেষ করেছেন কুরআন রানী সাবা সম্পর্কে কি বলে তা দিয়ে । খুবই অসাধারণ ।

আমি অধ্যায় ৩৩ নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই । এখানে ইসরাঈল – ফিলিস্তিন ক্ল্যাশের গােড়া থেকে একদম বর্তমান কাল অবধি সকল ধারা বিবরণ সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে যদিও আমরা সকলেই জানি কেবল এ অধ্যায়টি নিয়েই একটা আস্ত বই হতে পারে । একে একে এসেছে মিসরের আনােয়ার সাদাত , ইসরাঈলের শিমন পেরেজ , বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু , ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত প্রত্যেকের নাম , তবে খুব ছােট কলেবরে । এসেছে ছয় দিনের যুদ্ধ , ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির কথাও ।

ঈসা ( আ ) ও মহানবী ( সা ) সম্পর্কে বইয়ের শেষ দিকটায় কিছু আলােচনা রয়েছে । যা হয়তাে লেখক পরবর্তীতে বিস্তারিত আকারে অন্য কোনাে বইয়ে তুলে ধরবেন । বলে আমার ধারণা ।

Download now ihudi-jatir-itihas book by Abdullah ibn Mahmud pdf

Download

Link