গনিতের বেসিক নলেজ-মো: ইসমাইল হোসেন সিরাজী pdf books

2.5/5 - (2 votes)

গনিতের বেসিক নলেজ-মো: ইসমাইল হোসেন (সিরাজী) pdf books

গনিতের বেসিক নলেজ বইয়ের রিভিউঃ (Pdf books)

বইঃ গনিতের বেসিক নলেজ

লেখকঃ মোঃ ইসমাইল হোসেন (সিরাজী)

প্রকাশনীঃ বেসিক নলেজ প্রকাশন

ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল

গনিতের বেসিক নলেজ বইয়ের ভূমিকা :-

গণিত অথ হল ” গণনা – বিজ্ঞান ” । যে বিশেষ জ্ঞান দ্বারা গণনা করা হয়ে থাকে তাকে গণিত বলে । পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই গণিত সৃষ্টি । মানব জীবনের সাথে রয়েছে গণিতের নিবিড় সম্পর্ক । মানুষের জন্মের শুরু থেকে মত্যু পর্যন্ত জীবনের সর্বক্ষেত্রেই গণিতের প্রয়ােগ অনস্বীকার্য ।

গণিত এক বিরাট হিকমত আল্লাহ তায়ালার রয়েছে মানুষের প্রতি অসীম দয়া । আল্লাহ তায়ালা মানুষের কল্যাণের জন্য গণিতের মাধ্যমে হিকমত শিখিয়েছেন গণিত হল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি বিষয় । সেহেতু , বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয় । ” মহাবিশ্বের যত অমৃত বাণী গণিতকে করেছে বিজ্ঞানের রাণী । সে গণিতকে যারা করে না ভয় গণিত তাদের সাথে কথা কয় ” ।

গণিত হল একটি সার্বিক ভাষা ( Universal language ) যার সাহায্যে পরম সত্যের কাছাকাছি যাওয়া যায় বা যাওয়ার চেষ্টা করা যায় । বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও তথ্য – প্রযুক্তির যুগ । আর গণিতকে বলা হয় বিজ্ঞানের ভাষা । নিজের জীবন ও দেশকে সুন্দর ও সার্থকভাবে গড়ে তুলতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য ।

গণিত এমন একটি বিজ্ঞান যেখানে সংখ্যা , আকার ও স্থানের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গবেষণা ও অধ্যয়ন করা হয় । গণিত মানব সভ্যতার জন্য একটি আশির্বাদ যা ব্যক্তিগত কার্যকলাপ ছাড়াও জ্ঞানবিজ্ঞান প্রযুক্তি গবেষণা ইত্যাদির কাজেও গণিত অপরিহার্য । গণিতের কারণেই প্রযুক্তি আজ এতদূর অগ্রসর হতে পেরেছে ।

গণিত আছে বলেই আজ আমরা অতীত ইতিহাস জানতে পারি । সুতরাং গণিত ছাড়া বিজ্ঞানের কোন অংশই কল্পনা করা যায় না । বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের প্রধান অস্ত্র হল গণিত শিক্ষা । শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নতুন ধারা সৃষ্টি করার প্রধান সহায়ক হল গণিত । যে জাতি গণিতে পারদশী সে তাতি নি – বিজ্ঞানে অগণিত ভূমিকা পালন সক্ষম হয়েছে৷

Pdf books

গণিত বিষয়টি আয়ত্তে আনার সহজ পদ্ধতি গণিত সম্পর্কে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মনে একটা মিথ্যা ভীতি কাজ করে গণিতের কথা শুনলেই শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে খুব বেশি কঠিন মনে করে । ফলে তারা গণিত শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে । আসলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে গণিত বিষয়টি অগ্রহ ও যত্ন নিয়ে নিয়মিত চর্চা ও অনুশীলন করলে খুব সহজে আয়ত্ত করতে পারবে কারণ , চর্চা ও অনুশীলনের উপরই গণিতের বিকাশ ও সাফল্য নির্ভর করে ।

গণিত সহজে আয়ত্ব ও পরীক্ষায় ভালাে নম্বর পেতে নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি তুলে ধরা

১. গণিতের বেসিক নলেজ বা মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা গণিত বিষয়ে পরিপূর্ণ দক্ষতা ও সহজে আয়ত্ত করতে হলে প্রথমত : গণিতের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে । এবং প্রতিটি বিষয়বস্তু সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হবে । গণিত একটি ধারাবাহিক বিষয় । বিষয়বস্তু সমূহ ধারাবাহিক ও সঠিকভাবে লিখতে হবে । একটি বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে অন্যটি লেখা যাবে না ।

২. গাণিতিক ফরমূলা বা সূত্র আয়ত্ত করা গণিতের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের পর গণিতের প্রধান অস্ত্র হল ফরমূলা বা সূত্র কারণ , সূত্র বিহীন গণিতকে কল্পনা করা যায় না । যে কোন অঙ্ক কষতে হলে ঐ অংকের সূত্র ও তত্ত্বসমূহ ভালােভাবে আয়ত্ত করতে হবে । এবং সূত্রের সঠিক প্রয়ােগ :

৩. নিয়মিত চর্চা ও অনুশীলন করা গণিতের মৌলিক জ্ঞান অর্জন ও ফরমূলা আয়ত্ব করার পর নিয়মিত গণিত চর্চা ও অনুশীলন করতে হবে । গণিত পরিপূর্ণ আয়ত্ত করার জন্য ও শেখার ক্ষেত্রে অনুশীলনের বিকল্প নেই । কারণ , অনুশীলনের উপরই গণিতের বিকাশ ও সাফল্য নির্ভর করে । যে কোন গণিত শিক্ষাই চর্চা ও অনুশীলন ব্যতীত বলিষ্ঠ হয় না । কোন অঙ্ক বুঝে না আসলে বা কঠিন মনে হলে বারবার চর্চা ও অনুশীলন করলে খুব সহজেই অঙ্কটি বুঝে আসবে ও আয়ত্ত করা যাবে । সুতরাং গণিতের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের পর সূত্র ও তত্ত্বসমূহ ভালোভাবে আয়ত্ত করে প্রতিদিন কম হােক আর বেশি হােক ধারাবাহিক ভাবে গণিত চর্চা ও অনুশীলন অভ্যাহত রাখলে গণিত বিষয়টি খুব সহজেই আয়ত্ত করা যাবে ।

সহজ পদ্ধতিতে তাক্ত করার

কৌশল  1): কোন অংকের একাধিক নিয়ম থাকলে , সহজ , সংক্ষিপ্ত ও প্রচলিত পদ্ধতিতে অঙ্কটি করতে হবে ।

কৌশল 2 ) অংকের প্রশ্ন গভীরভাবে বুঝতে হবে । কারণ , প্রশ্ন পরিপূর্ণ বুঝার উপর অংকের সমাধান নির্ভর করে ।

কৌশল 3 )জটিল অঙ্কগুলাে ধীরে ধীরে করতে হবে ।তাছাড়া , গণিতের প্রতিটি লাইন লেখার সময় এর পূর্ববর্তী লাইন লক্ষ্য রাখতে হবে । তখন অঙ্কটি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে । যদি মনে হয় কোন অঙ্ক ভুল হচ্ছে । তাহলে অঙ্কটি কেটে না দিয়ে কয়েকবার ভালােভাবে দেখতে হবে যদি ভুলের কারণ না পাওয়া যায় তাহলে সময় অপচয় না করে অন্য অঙ্ক করতে হবে । এবং শেষের দিকে উক্ত অঙ্কটি আবার চেষ্টা করতে হবে ।

কৌশণ ৪ )জ্যামিতির চিত্র আঁকার সময় যে সব বিষয় লক্ষ রাখতে হবে : সরল রেখা সূক্ষ্মভাবে আঁকতে হবে । ২. বিন্দুসমূহ হালকাভাবে চিহ্নিত করতে হবে । ৩ . যন্ত্রের অগ্রভাগ যেন তীক্ষ ও মসৃন হয় । ৪. বাক্সে দুটি সূচালো ধার যুক্ত পেন্সিল রাখতে হবে একটি পেন্সিল কম্পাসের জন্য অন্যটি সাধারণ অংকের জন্য ।

কৌশল’5 )অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষার প্রশ্নের অঙ্কের সাথে অনুশীলনীর অঙ্ক মিল থাকে না । সামান্য কিছু পরিবর্তনের কারণে অঙ্কটিকে অপরিচিত মনে হয় । আসলে অঙ্কটির নিয়ম একই । একটু গভীরভাবে চিন্তা করে অংকের প্রশ্নটি পড়লে বুঝা যাবে । সুতরাং , অঙ্ক মুখস্থ না করে বুঝে করা উচিত । অংকের সূত্র ও তত্ত্বসমূহ খুব নির্ভুল ভাবে শিখতে হবে ।

যাতে সূত্রের সঠিক প্রয়ােগ করে অঙ্কটি নির্ভুলভাবে সমাধান করা যায় । জ্যামিতির ক্ষেত্রে উপপাদ্যের সম্পূর্ণ বর্ণনা ও সম্পাদ্যের চিত্র ল ? আঁকতে হবে । তাহলে জ্যামিতিতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে । চিত্র আঁকার সময় তীক্ষ্ম পেন্সিল ব্যবহার করতে হবে । প্রশ্নে চিত্রের বিন্দু ও কোণের নাম উল্লেখ না থাকলে চিত্র আঁকার পর প্রতিটি বিন্দুতে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর দিয়ে নাম দিতে হবে ।

গনিতের বেসিক নলেজ pdf books

Download

ভর্তি সহায়ক বই || পরিক্ষা সহায়ক বই || চাকুরি সহায়ক বই || Admission Preparation

How to download from google drive—–Tutorial

pdf books