duniya kapano toymur long book by Harold Lamb pdf download from tunetuni.
দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং বইয়ের বিবরনঃ pdf download

বইঃ দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং বই pdf
লেখকঃ হ্যারল্ড ল্যাম্ব বই pdf
অনুবাদকঃ যায়নুদ্দিন সানী বই pdf
প্রকাশনীঃ দিব্য প্রকাশ এর বই pdf
ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল(Pdf)
ক্যাটাগরিঃ রাজনৈতিক ইতিহাস বই pdf
হ্যারল্ড ল্যাম্ব এর বই pdf download
দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং রিভিউ
পাঁচশত পঞ্চাশ বছর আগের একজন মানুষ নিজেকে পুরাে পৃথিবীর শাসক বানানাের চেষ্টা করেছিলেন । তিনি তাঁর প্রতিটি প্রচেষ্টায়ই সফল হয়েছিলেন । আমরা তাকে ডাকি তৈমুর লং বলে । শুরুতে দারুণ তিনি ছিলেন একজন নিপাট ভদ্রলােক আর নিঝঞাট একজন মানুষ । কিছু গবাদি আর কিছু জমির মালিক । তবে সেই ভূমি ছিল মধ্য এশিয়ার বিজয়ী তৈরির প্রজননস্থল ।
Link: ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান pdf download
ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান pdfDownload Now
আলেকজান্ডারের মতাে তিনি কোনাে রাজার পুত্রও ছিলেন না কিংবা ছিলেন না চেঙ্গিস খানের মতাে কোনাে গােত্র প্রধানের উত্তরাধিকারী । বিজয়ী আলেকজান্ডারের সঙ্গে ছিল তাঁর জনগণ অর্থাৎ মেসিডনীয়রা । আর চেঙ্গিস খানের সঙ্গে ছিল মােঙ্গলরা । কিন্তু তৈমুর লং সংগ্রহ করে একত্রিত করেছিলেন তাঁর প্রজা । একের পর এক তিনি পরাস্ত করেছিলেন অর্ধেক পৃথিবীরও বেশি এলাকার সেনাবাহিনীকে । শহরগুলােকে তিনি তছনছ করে দিয়েছিলেন , আর এরপর নিজের ইচ্ছামতাে তিনি আবার তা গড়েছিলেন । তাঁর সৃষ্ট পথে দুই মহাদেশের ব্যবসায়ীদের কাফেলা চলাচল করত । তিনি প্রচুর সাম্রাজ্যের ধন – সম্পদ আহরণ করেছিলেন আর সেসব তিনি নিজের ইচ্ছেমতাে খরচ করেছিলেন । এক মাসের মধ্যে তিনি পর্বতের চূড়ায় দারুণ এক প্রমােদ প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন ।
একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় যতবার চেষ্টা করতে পারে সম্ভবত তার চেয়ে বেশিবার চেষ্টা করেছিলেন , বিশ্বের যেকোনাে অপ্রিয় জিনিসকে ভেঙে , আবার তা নিজের মনের মতাে করে গড়ে নিতে । তিনি ছিলেন তৈমুর লং , আর আজ পর্যন্ত তিনি শুধুই তৈমুর লং হিসেবেই আমাদের কাছে পরিচিত । আমাদের সাধারণ ইতিহাসে তাঁর সাম্রাজ্যকে তৈমুর লং – এর সাম্রাজ্য হিসেবেই বলা হয় । যদিও পাঁচ শতকের আমাদের পূর্বপুরুষরা এই সাম্রাজ্যকে তাতার সাম্রাজ্য হিসেবে বলতেন । সাধারণভাবে তাঁকে তাঁরা একজন প্রভাবশালী আর নির্দয় চরিত্র হিসেবে জানতেন যিনি ইউরােপের দরজা পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন স্বর্ণালী তাঁবুতে আর মানুষের খুলি দিয়ে তৈরি করা মিনারকে রাতের বেলা প্রজ্জ্বলিত করেছিলেন স্পিরিটের আলাে দিয়ে ।
Link: লং ওয়াক টু ফ্রিডম pdf download
লং ওয়াক টু ফ্রিডম pdfDownload Now
এশিয়া তাঁকে আরও ভালােভাবে জানত – এর গর্ব আর এর দুঃখ হিসেবে । এখানে তাঁর শত্রুরা বলত তিনি ছিলেন দুর্দান্ত এক ধূসর নেকড়ে । যার কাজ ছিল পৃথিবীকে খাবলে খাওয়া । আর তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ডাকত ‘ সিংহ ‘ আর ‘ বিজয়ী ’ বলে । দৃষ্টিহীন মিল্টন , তৈমুর লং – এর কথা কল্পনায় এনেই বােধহয় , তাঁর শয়তান চরিত্রটি সৃষ্টি করেছিলেন । আর সে কারণেই যে শয়তান চরিত্রটি তিনি সৃষ্টি করেন তা ছিল বেশ জমকালাে । কবির এই কল্পনার ব্যাপারে ইতিহাসবিদরাও নীরব ছিলেন ।
তৈমুর লংকে সহজেই কোনাে প্রকরণভূক্ত যায় না । তিনি কোনাে সাম্রাজ্যের অংশ ছিলেন না – তিনি সাম্রাজ্যের পত্তন করেছিলেন । অ্যাটিলা যেমনটা করছিল তেমনভাবে তিনি বর্বরদের মতাে রােম আক্রমণ করেননি । বরং মরুভূমিতে , শত প্রতিকূলতার মাঝে , তিনি নিজের জন্য নিজেই একটি রােম সৃষ্টি করেছিলেন । তিনি নিজের জন্য সিংহাসন বানিয়েছিলেন কিন্তু জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন ঘােড়ার স্যাডলের ওপর । আর যখন তিনি কিছু তৈরি করতেন , সেখানে থাকত না পুরনাে কোনাে স্থাপত্যের আদল । তাঁর তৈরি করা স্থাপত্য হতাে একেবারে নতুন আর সেখানে থাকত তাঁর নিজের পছন্দের ছাপ |
Also Link: মাইন ক্যাম্ফ pdf download
দামেস্ক শহর জ্বালিয়ে দেয়ার আগে সেখানে দেখা গম্বুজের এক স্থাপত্য তিনি পুনরায় তৈরি করেছিলেন , খাড়া ঢালের এক পাহাড়ের চূড়ায় । তৈমুর লং – এর সৃষ্ট এই গম্বুজ পরবর্তীতে রাশিয়ার স্থাপত্যের বিশেষত্ব হয়ে ওঠে । তাজমহলের সুউচ্চ গম্বুজও তাঁর সেই কীর্তির আদলেই সৃষ্ট । তাজমহলও একজন মােগলেরই তৈরি তাঁরই এক উত্তরপুরুষ । ইতিহাস তার সময়ের ইউরােপকে নিয়ে খুব ভালােভাবেই আলােচনা করেছে । আজ আমরা জানি ভেনিসে তখন চলছিল দশজন সভাসদের দাপট আর দান্তেও মৃত্যুর এক প্রজন্ম পরে , রেঞ্জি কীভাবে সে সময়ের মুসােলিনি হয়ে উঠেছিল ।
পেত্রার্ক তখন লিখে চলছিলেন আর ফ্রান্স টেনে চলছিল এক শত বছরের যুদ্ধের মােলায়েম ক্ষণ । অর্লেনীয় আর বুরগুন্ডিয়রা তখন প্যারিসের অর্ধ উন্মাদ ষষ্ঠ চার্লসের খুনি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত । ইউরােপ তখন ছিল তরুণ । মধ্যযুগের অন্ধকার ঠেলে কেবল জেগে উঠছে । রেনেসাঁর আলাে তখনাে পুরােপুরি উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে ওঠেনি । ইউরােপ তখন আরাম আর সভ্যতার জন্য তাকাত প্রাচ্যের দিকে । আরাে তাকাত লিনেন , বুকরাম ( শক্ত লিনেন ) আর মসলার জন্য । সিল্ক , লােহা আর চীনা পাত্রের জন্য । রুপা , সােনা আর দামি সব পাথর আসত পূর্ব থেকে । আর এই স্থল বাণিজ্যের হাত ধরে ভেনিস আর জেনােয়া সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে । স্পেনের কর্ডোভা আর সেভিল তৈরি হয় আরবদের হাতে । আরাে তৈরি হয় গ্রানাডার প্রাসাদগুলাে । কনস্ট্যানন্টিনােপলও ছিলেন অর্ধেক প্রাচ্যীয় ।