সালাত : রাসূলুল্লাহ (স.) এর নামায by ডা জাকির নায়েকের বই pdf

4/5 - (3 votes)

ডা জাকির নায়েকের বই pdf download. dr zakir naik bangla books pdf. সালাত : রাসূলুল্লাহ (স.) এর নামায by ডা জাকির নায়েকের বই pdf

সালাত : রাসূলুল্লাহ (স.) এর নামায বইয়ের রিভিউঃ (জাকির নায়েকের বই pdf books)

বইঃ সালাত : রাসূলুল্লাহ (স.) এর নামায

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

পিস পাবলিকেশন

ক্যাটাগরিঃ Islamic,ডা জাকির নায়েক

প্রকাশঃ ২০১৫

ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল

সাইজঃ ১ এমবি

পেইজ সংখ্যাঃ ৬৪

dr. zakir naik books pdf | ডা. জাকির নায়েকের বইসমূহ (PDF) | dr zakir naik salah bangla | dr zakir naik all books in bangla pdf free download | zakir naik books online | ডা জাকির নায়েকের বই pdf free download

ডা জাকির নায়েকের বই pdf

নামাযের শারীরিক উপকারিতা

সামাজিক উপকারিতা ও আত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি নামায থেকে আমরা বিভিন্ন শারীরিক উপকারিতা লাভ করি । নামাযের সময় যখন রুকুতে যাই শরীরের উপরি অংশে তখন অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় । মেরুদণ্ড হয়ে যায় নমনীয় । এর বিভিন্ন নার্ভ শক্তিশালী হয় । পীঠের ব্যথা দূর হয় । দূর হয় পেট ফাপা জাতীয় সমস্যাগুলাে । এরপর যখন উঠে দাড়াই তখন শরীরের উপরের অংশটুকুতে যেটুকু রক্ত পরিবাহিত হয়েছে সেই প্রবাহ তখন স্বাভাবিক হয় ।

শরীর তখন সতেজ হয় । যখন আমরা সিজদা দেই তখন আমাদের কপাল মাটিতে লাগে , এটা হলাে সালাতের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ অংশ । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । প্রত্যেকদিন মানুষের শরীর তার চারপাশের বিভিন্ন ইলেকট্র স্ট্যাটিক চার্জের সংস্পর্শে আসে । এই চার্জ তারপর মানুষের নার্ভ সিস্টেমে গিয়ে পৌছায় । আর সেখানেই জমা হয়ে থাকে ।

এই অতিরিক্ত ইলেকট্র স্ট্যাটিক চার্জ শরীর থেকে বের করে দেয়া প্রয়ােজন । তা না হলে আপনি মাথা ব্যথায় ভুগবেন , পিঠে ব্যাথা হবে । মাংস পেশীতে টান পড়বে । প্রেসার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আমরা ট্রাঙ্ককুইলাজার ব্যবহার আর বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ সেবন করি । অতিরিক্ত ইলেকট্রচার্য আমাদের শরীর থেকে বের করে দিতে হয় ।

যেমন ধরুন , এমন কোনাে যন্ত্র যেখানে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় । সেখানে সাধারণত তিন পিনের প্লাগ ব্যবহার করতে দেখা যায় । তৃতীয় পিন বা তৃতীয় তারটা মাটিতে সংযােগ দিয়ে আর্থিং করা হয় । একইভাবে আমরা যখন সিজদায় যাই , আমাদের কপাল মাটিতে ঠেকাই , তখন শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । (জাকির নায়েকের বই pdf books)

ব্রেন আর ব্রেনের শ্রেষ্ঠঅংশ Frontal tog ‘ মাটিতে ঠেকানাে হয় । এসময় অতিরিক্ত ইলেকট্র স্টাটিক চার্জ মাটিতে চলে যায় । তার মানে এই নয় যে , সে সময় আপনার কপালের নিচে হাত রাখলে আপনি শক খাবেন সিজদার সময় আমরা Frontal log মাটিতে ঠেকাই । ব্রেনের যে অংশটা চিন্তা করে সে অংশটি মাথার উপরে থাকে না , সেটা থাকে Frontal log এ । সে জন্যই আমরা সালাতের মধ্যে সিজদা করি ।

যখন আমরা সিজদায় যাই , তখন আমাদের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় । এতে অমািদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় । যখন সিজদা করি তখন আমাদের মুখের চামড়া ও ঘাড়ে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় । এতে আমাদের মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায় । এটা শীতকালে আমাদের জন্য খুবই উপকারী । সিজদার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অসুখ থেকে বাঁচতে পারি । যেমন ফাইব্রোসাইটিস ও চিলব্রেন ।

যখন সিজদা করি তখন প্যারাবাইকাল সাইনােসাইটিসের ড্রেনেজ তৈরী হয় । এতে সাইনােসাইটিস – এর ঝুঁকি কমে যায় । যেটা হলো সাইনাসের প্রদাহ । আর ম্যাগজিলারি সাইনাস – এর ড্রেনেজ থাকে শরীরের ওপরের অংশে । আমরা সারাদিন সােজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি বলে এর চলাচল থেমে থাকে । সেজন্য যখন আমরা সিজদায় যাই ( ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে একটা পাত্র উল্টে দিলাম ) তখন ম্যাগজিলারিজ সাইনাসের ড্রেনেজটা সচল হয় ।

এছাড়াও এতে করে আমাদের শরীরের ফ্রন্টাল সাইনাসের ; এখানাডিয়াস সাইনাস এবং স্পেনােডিয়াস সাইনাসের ড্রেনেজ তৈরী হয় । তাই সাইনােসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় । অথবা সাইনােসাইটিস যদি থেকেও থাকে তবে এটা তার প্রাকৃতিক চিকিৎসা । অর্থাৎ সিজদা সাইনােসাইটিসে আক্রান্ত রােগীর জন্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা । যেসব মানুষ ব্রংকাইটিস রােগে ভুগে থাকেন । তাদের ব্রংকিলট্রি দিয়ে রক্ত নিঃসৃত হতে পারে ।

সিজদার কারণে ব্রংকিলট্রিতে রস জমা হয়ে থাকতে পারে না । এতে বিভিন্ন পালমনারি রােগের চিকিৎসা করা যেতে পারে যেখানে আমাদের শরীরের রস জমা হয় । আমাদের শরীরে রস ছাড়াও ধুলাবালি আর রােগ জীবাণু জমা হতে পারে । সিজদার মাধ্যমে এসব অসুখের উপকার পাওয়া যায় ।

আমরা যখন নিঃশ্বাস নিই তখন আমাদের ফুসফুসের মাত্র দুই – তৃতীয়াংশ ব্যবহার করে থাকি । আর বাকি এক – তৃতীয়াংশে ফুসফুসের বাতাস থেকে যায় । মাত্র দুই – তৃতীয়াংশ তাজা বাতাস ফুসফুসে ঢােকে আর বের হয়ে যায় । বাকি এক – তৃতীয়াংশে চলে রেসিডিয়াল এয়ার । আমরা যখন সিজদা করি – তখন আমাদের তল পেট চাপ দেয় আমাদের ডায়াফ্রামে । আর এ ডায়াফ্রাম চাপ দেয় আমাদের ফুসফুসের নিচের অংশে ।(জাকির নায়েকের বই pdf books)

আর এতে ফুসফুসের সেই রেসিডিয়াল এয়ার বের হয়ে যায় । তাহলে এই দুষিত বায়ু বের হয়ে গেলে আরাে তাজা বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে । এভাবে আমাদের ফুসফুস স্বাস্থ্যবান হয় যখন সিজদা করি তখন যেহেতু অভিকর্ষবল কমে যায় , ফলে তলপেটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় । তলপেটের ভেতরের বিভিন্ন ধমনীতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় । সিজদা এবং রুকুর মাধ্যমে হারনিয়া , ফিমােরাল ইত্যাদি অসুখের নিরাময় হয়ে থাকে ।

এছাড়াও সিজদায় অনেক রােগের নিরাময় হয় । এর মধ্যে একটি অসুখ হলাে হেনােরয়েড যেটাকে সাধারণ মানুষ বলে পাইলস । আবার সিজদার মাধ্যমে জরায়ুর স্থান চ্যুতিকে রােধ করা যায় । যখন সিজদাহ করি তখন আমাদের শরীরের ভর থাকে হাটুর ওপরে । আমাদের পা থাকে নমনীয় ।

এছাড়া আমাদের পায়ের সােলিয়াস ও গ্যাসটোলভিম মাসল থাকে , যাকে পেরিকেরাল হার্ট বলা হয় কারণ এ মাসলগুলােতে অনেকগুলাে ধমনী আছে । আর এ ধমনীগুলাে দিয়ে শরীরের নিচের অংশে রক্ত প্রবাহিত হয় । এতে শরীরের নিচের অংশ রিলাক্স হয় । যখন সিজদায় যাই আমাদের হাটু তখন মাটি স্পর্শ করে । হাত এবং কপালও মাটি স্পর্শ করে । এই পদ্ধতিতে কার্ভাইকাল স্পাইনের বিভিন্ন অসুখের নিরাময় হয় । কারণ এই সিজদার মাধ্যমে ইন্টার ডায়ােটিব্রাল জয়েন্টের উপকার হয় ।

সিজদার মাধ্যমে বিভিন্ন হৃদরােগের উপকার পাওয়া যায় । যখন আমরা সিজদা থেকে উঠি , হাটু গেড়ে বসি , শরীরের ওপরের অংশে যে রক্ত চলে গিয়েছিল সেটা স্বাভাবিক হয় । আর শরীরও রিলাক্স হয় । তখন আমাদের উরু আর পিঠের ধ্বমনীর মাধ্যমে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় । এতে পিঠের মাংস পেশী রিলাক্স হয় । সিজদার মাধ্যমে আমরা কোষ্টকাঠিন্য আর বদহজম রােগের উপকার পেয়ে থকি । অর্থাৎ যারা প্যাপটিক আলসারে বা পাকস্থলীর অন্য কোনাে রােগে ভুগছেন তারাও বসা থেকে উঠে দাড়ানাের এ নিয়মের কারণে উপকৃত হবেন ।

যখন আমরা সিজদা থেকে উঠে দাঁড়াই তখন আমাদের শরীরের ভর থাকে পায়ের ওপরে । এভাবে আমাদের পিঠের মাসল , হাটুর মাসল , উরুর মাসল আর পায়ের মাসল শক্ত হয় । যখন আমরা সালাত আদায় করি তখন আমরা শারীরিকভাবে উপকৃত হই । তবে মুসলিমরা কেবল শারীরিক উপকারিতার জন্য সালাত আদায় করে না । এটা হলাে বাড়তি উপকার । আমরা সালাত আদায় করি আল্লাহ তাআলার প্রশংসা অর্জনের জন্য । তাকে ধন্যবাদ জানাতে । আমরা সালাত আদায় করি নির্দেশনার জন্য ন্যায় নিষ্ঠার পথে Programmed হওয়ার জন্য ।

গতকাল শনিবার জন্য । সালাতের এমন উপকার তাদেরকে আকৃষ্ট করবে যাদের বিশ্বাস কম বা যারা অমুসলিম । কিন্তু মুসলিমদের প্রধান কাজ হলাে আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করা । কারণ এটাই আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলার নির্দেশ । এটাই আমাদের বিশেষত্ব । কিছু মুসলিম আছে যারা বলবে , কিছু কিছু নামাযি আছেন যারা নামায পড়ে আবার লােক ঠকায় । তারা সৎ নয় । ন্যায়পরায়ণ নয় । তাহলে আপনি কিভাবে বললেন সালাত ন্যায়পরায়নতার Programming ?

আমরা জানি কিছু মুসলিম প্রত্যেকদিন ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ে । তারপরও তারা ন্যায়নিষ্ঠ নন । এই প্রশ্নের উত্তরটার জন্য সূরা মু’মিনূনের ১ ও ২ নং আয়াতই যথেষ্ট । যেখানে বলা হয়েছে, অবশ্যই মু’মিনগণ সফলকাম হয়েছে , যারা নিজেদের নামাযে বিনয় – নম্র । আরবি শব্দ খাশিউন- এটা এসেছে ‘ খুশু ‘ থেকে , যার অর্থ নম্রতা ও মনােযােগ দেয়া । সেজন্য আল্লাহ বলেছেন , যারা সালাত আদায় করে মনােযােগের সাথে ও ভাবে তারা অবশ্যই সফলকাম হবে । তারাই সালাতের উপকারগুলাে পাবে । (জাকির নায়েকের বই pdf books)

কিন্তু যারা বাইরে থেকে সালাত আদায় করে কোনাে ম্রতা ও মনােযােগ ছাড়া , তারা সালাতের উপকারগুলাে কখনােই পাবে না । তাহলে এই মুসলিমরা যারা সালাত আদায় করে কিন্তু এ থেকে কোনাে উপকার পায় না , তার ন্যায়পরায়ণ নয় । এর কারণ তারা সালাত আদায় করে বাইরে থেকে । কোনাে রকম নম্রতা এবং মনােযােগ ছাড়া । আর যদি কেউ মনােযােগী হতে চায় তাহলে সে নামাযে যা পাঠ করছে তার অর্থ জানতে হবে ।

যেমন ধরুন নামাযের সময় ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহার পরে পড়লেন সূরা ইখলাস । আর বললেন- বল , আল্লাহ এক অদ্বিতীয় । সব মুসলিমই যারা মসজিদে এসে সালাত আদায় করে তারা সবাই মনিবে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় । কেউ এ কথা বলবে না , আল্লাহ এক নয় । আল্লাহ এখানে ইমাম সাহেবকে নির্দেশনা দিচ্ছেন ; ইমাম এখানে যা করছেন তিনি মুসলিমদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিচ্ছেন । আর বলছেন বল , আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় । এই কথাটা তাদের কাছে বল যারা একমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করে না ।

অনেক মুসলিমই নামায পড়েন এবং যখনই তারা নামায শেষ করেন , তারা নামাযের সময় যেসব কথা বলেছিলেন সেসব কথার প্রভাবের ওপর থাকেন না । আর এটার প্রধান কারণ হলাে তারা এ কথাগুলাে বুঝতে পারেননি । আপনি যদি সেগুলাে বুঝতেই না পারেন তবে প্রয়ােগ করবেন কীভাবে ?

ডা জাকির নায়েকের বই pdf books free download also

ইসলামিক অন্যান্য বইসমূহের পিডিএফ লিংক

মুজাফফর বিন মুহসিন সকল বইয়ের পিডিএফ || ডঃ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব || শহীদুল্লাহ খান মাদানী || ড. আবূ বকর মোঃ জাকারিয়া মজুমদার || আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ || আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী || ব্রাদার রাহুল হোসেন || ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর || আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল রাজ্জাক||ডা:জাকির নায়েক

বইটি অনলাইনে পড়ুন

tunetuni pdf download

পিডিএফ ফাইলটি এক ক্লিকে ডাউনলোড করুন— Click here

App box থেকে ডাউনলোড করুন — ডাউনলোড

যেভাবে pdf ডাউনলোড করবেন — Tutorial

রকমারি থেকে বইটি ক্রয় করুন — Buy