দাজ্জাল-pdf books আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ:

Rate this post

দাজ্জাল-মাসীহ দাজ্জালের কিসসা৷লেখক:- নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ:) pdf books download dazzal. ইসা (আ) এর অবতরণ ও দাজ্জালকে হত্যা করা সম্পর্কে৷ অনুবাদক:-আহসানুল্লাহ বিন সানাউল্লাহ৷ pdf books

দাজ্জাল-pdf books

লেখক:-নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ:)

অনুবাদক:-আহসানুল্লাহ বিন সানাউল্লাহ

আবু উমামাহ আল – বাহিলী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) আমাদের সম্মুখে ভাষণ দিলেন । তিনি আমাদের সামনে তাঁর অধিকাংশ ভাষণ দাজ্জাল প্রসঙ্গে দিলেন এবং আমাদেরকে তার ব্যাপারে সাবধান করলেন । এক পর্যায়ে তিনি বললেনঃ

১। হে লােক সকল ! আল্লাহ যখন থেকে আদম সন্তানকে সৃষ্টি করেছেন তখন থেকে দাজ্জালের ফিতনার চেয়ে কোন বড় ফিতনা যমীনে সংঘটিত হয়নি ।

২। নিশ্চয় আল্লাহ এমন কোন নাবী প্রেরণ করেননি যিনি তাঁর উম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখাননি ।

৩। আমি সর্বশেষ নাবী আর তােমরা সর্বশেষ উম্মাত ।

৪। সে ( দাজ্জাল ) অবশ্যই তােমাদের মাঝে প্রকাশ পাবে ।

৫। আমি তােমাদের মাঝে বর্তমান থাকাবস্থায় যদি সে বের হয় , তাহলে আমি প্রত্যেক মুসলিমের পক্ষে যুক্তি উত্থাপন করবে ( তাকে দোষারােপ করব ) । আর যদি সে আমার পরে বের হয় , তাহলে প্রত্যেককে নিজের পক্ষে দলীল পেশ করতে হবে । তখন মহান আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আমার খলীফাহ স্বরূপ হবেন ( অর্থাৎ তিনি মুসলিমদের দাজ্জাল থেকে রক্ষা করবেন ) ।

৬। নিশ্চয় দাজ্জাল বের হবে সিরিয়া ও ইরাকের খাল্লা নামক স্থান হতে । আর সে তার ডান ও বামে সর্বত্র বিপর্যয় সৃষ্টি করবে । হে আল্লাহর বান্দারা ! তােমরা ঈমানের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে ।

৭। কেননা , আমি তােমাদের কাছে তার এমন অবস্থা বর্ণনা করব , যা আমার পূর্বে কোন নাবী স্বীয় উম্মাতের কাছে বর্ণনা করেননি

৮। প্রথমে সে বলবে , আমি নাবী এবং আমার পরে কোন নাবী নেই ।

৯। অতঃপর সে দাবী করে বলবে , আমি তােমাদের রব্ব ! অথচ তােমরা তােমাদের রব্বকে মৃত্যুর পূর্বে দেখবে না ।

১০ । সে হবে কানা । আর তােমাদের রব্ব তাে কানা নন ।


১১। তার দুই চোখের মাঝে ( কপালে ) লেখা থাকবে কাফির ’ ।

১২। এই লেখা প্রত্যেক মু’মিন ব্যক্তিই পড়তে পারবে , চাই সে অক্ষর হােক বা নিরক্ষর ।

১৩। তার ফিতনা হচ্ছে এই , তার সঙ্গে জান্নাত ও জাহান্নাম ( সদৃশ বস্তু ) থাকবে । কিন্তু তার জাহান্নাম হবে জান্নাত এবং তার জান্নাত হবে জাহান্নাম ।

১৪। অতএব যে তার জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে , সে যেন আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং সূরাহ কাহফ – এর প্রথমাংশ তিলাওয়াত করে ।

১৫। তখন সেই জাহান্নাম তার জন্য ঠাণ্ডা – শান্তিময় স্থানে পরিণত হবে যেমন আগুন শান্তিময় হয়েছিল ইবরাহীম ( আ ) -এর উপর ।

১৬। দাজ্জালের অন্যতম ফিতনা হচ্ছে এই , সে জনৈক বেদুইনকে বলবে ? আমি তােমার জন্য তােমার পিতা – মাতাকে জীবিত করে দিতে পারলে তুমি কি সাক্ষ্য দিবে যে , নিশ্চয় আমি তােমার রব্ব ! তখন সে বলবে ৪ হঁ্যা , তখন তার জন্য দু’টি শয়তান তার পিতা ও মাতার আকৃতি ধারণ করবে । তারা বলবেঃ হে বৎস ! তার আনুগত্য কর । নিশ্চয় সে তােমার প্রতিপালক ।

১৭। দাজ্জালের আরেকটি ফিতনা হল , সে এক ব্যক্তিকে পরাভূত করে তাকে হত্যা করবে ।

১৮। এমনকি তাকে করাত দিয়ে দুই টুকরা করে নিক্ষেপ করবে । অতঃপর বলবেঃ তােমরা আমার এই বান্দার প্রতি লক্ষ্য কর , আমি এখনই তাকে জীবিত করব । তবুও কি কেউ বলবে যে , আমি ছাড়া অন্য কেউ তার রব্ব ? অতঃপর মহান আল্লাহ ঐ লােকটিকে জীবিত করবেন । তখন খবীস ( দাজ্জাল ) তাকে বলবে ৪ কে তােমার রব্ব ? সে বলবে ৪ আল্লাহ আমার রব্ব । আর তুই আল্লাহর দুশমন , তুই দাজ্জাল ! আল্লাহর শপথ ! ( তুই যে দাজ্জাল ) তা আজকে আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারছি ।


১৯। সে আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণের নির্দেশ দিবে , তখনই বৃষ্টিপাত হবে । সে যমীনকে ফসল উৎপাদন করতে নির্দেশ দিবে , তখন যমীন ফসল উৎপন্ন করবে ।

২০। দাজ্জালের আরেকটি ফিতনা হলাে , সে একটি গােত্রের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে , তারা তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করবে । ফলে তাদের গৃহপালিত পশু ধবংস হয়ে যাবে ।

২১। দাজ্জালের আরেকটি ফিতনা হলাে , সে অন্য আরেকটি গােত্রের পাশ দিয়ে যাবে । তখন তারা তাকে সত্য বলে মেনে নিবে । ফলে সে আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণের নির্দেশ দিবে এবং আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে । অতঃপর সে যমীনকে শস্য উৎপাদনের নির্দেশ দিলে যমীন শস্য উৎপাদন করবে । যমীন ফসলাদি এমনভাবে উৎপন্ন করবে যে , তাদের পশুগুলাে সেদিন সন্ধ্যায় খুব মােটাতাজা এবং পেট ভর্তি করে স্তন ফুলিয়ে প্রত্যাবর্তণ করবে ।

২২। অবস্থা এমন হবে যে , পৃথিবীর এমন কোন ভূখণ্ড অবশিষ্ট থাকবে না যেখানে দাজ্জাল প্রবেশ না করবে এবং তা তার পদানত না হবে । কিন্তু মাক্কাহ ও মাদীনাহ ছাড়া ।

২৩। এই দুই শহরের প্রবেশ পথে খােলা তরবারি হাতে ফিরিশতা নিযুক্ত থাকবেন ।

২৪। এমনকি ছােট একটি লাল পাহাড়ের কাছে অবতরণ করবে । যা হবে তৃণলতা শূণ্য স্থানের শেষ ভাগ ।

২৫। অতঃপর মাদীনাহ তার অধিবাসী সহ তিনবার প্রকম্পিত হবে । ফলে মুনাফিক পুরুষ ও মহিলা মাদীনাহ্ থেকে বেরিয়ে দাজ্জালের সাথে মিলিত হবে ।

২৬। এভাবে মাদীনাহ্ তার ভেতরকার ময়লা বিদূরীত করবে , যেমন হাপর লােহার মরীচা দূর করে থাকে ।

২৭। সেদিনের নাম হবে নাজাত দিবস ।
২৮। অতঃপর উম্মু শারীক বিনতু আবুল ‘ আকর বলেন ঃ হে আল্লাহর রাসূল ! সেদিন আরবের লােকজন কোথায় থাকবে ? তিনি বলেন ? সেদিন তারা সংখ্যায় খুবই নগণ্য হবে ।

২৯। তাদের অধিকাংশ মু’মিন বান্দা সেদিন বাইতুল মুক্বাদ্দাসে অবস্থান করবে ।

৩০। তাদের ইমাম হবেন একজন সৎ ব্যক্তি ।

৩১। এমন অবস্থায় একদিন তাদের ইমাম তাদের নিয়ে ফাজুরের সলাত আদায় করবেন । তখন ঈসা ইবনু মারইয়াম ( আ ) সকাল বেলায় ( আকাশ থেকে ) অবতরণ করবেন । ফলে তাকে দেখে উক্ত ইমাম পিছনে সরে যাবেন যেন ঈসা ইবনু মারইয়াম ( আঃ ) সামনে গিয়ে লােকদের সলাতে ইমামতি করতে পারেন । তখন ঈসা ( আ ) তাঁর হাত উক্ত ইমামের দুই কাঁধের উপর রেখে বলবেন ঃ আপনি সামনে যান এবং সলাতের ইমামতি করুন । কেননা এই সলাত আপনার জন্যই ( ইমামতির নিয়্যাত করে ) কায়িম হয়েছিল । ফলে তাদের ইমাম তাদের নিয়ে সলাত আদায় করবেন ।

৩২। অতঃপর সলাত শেষে ঈসা ইবনু মারইয়াম বলবেন ঃ দরজা খুলে দাও । তখন দরজা খুলে দেয়া হবে । আর দরজার পিছনে থাকবে দাজ্জাল ।

৩৩। তার সঙ্গে থাকবে সত্তর হাজার ইয়াহুদী । তাদের প্রত্যেকের সাথে চাদরে আবৃত কারুকার্য খচিত তলােয়ার থাকবে ।

৩৪। দাজ্জাল যখন ঈসা ইবনু মারইয়াম ( আ ) -কে দেখবে তখনই সে বিগলিত হয়ে যাবে , যেমন লবণ পানিতে গলে যায় ।

৩৫। সে পালাতে থাকবে । তখন ঈসা ( আ ) বলবেন ঃ তাের প্রতি আমার একটি আঘাত আছে । যা থেকে বাঁচার কোন পথ নেই ।

৩৬। পরিশেষে তিনি তাকে বাবে লুদের পূর্ব দিকে পাবেন এবং তাকে হত্যা করবেন ।


৩৭। আর আল্লাহ ইয়াহুদীদেরকে পরাজিত করবেন । তখন ইয়াহুদীরা আল্লাহর সৃষ্ট যেকোন বস্তুর আড়ালে লুকিয়ে থাকুক না কেন , সে বস্তুকে আল্লাহ বাকশক্তি দান করবেন , চাই তা পাথর , গাছপালা , দেয়াল অথবা কোন জন্তু হােক না । তবে একটি গাছ হবে ব্যতিক্রম , যার নাম গারক্কাদাহ । একে ইয়াহুদীদের গাছ বলা হয় । সে কথা বলবে না । সে বলবে : হে আল্লাহর মুসলিম বান্দা ! এই সে ইয়াহুদী । তুমি এসাে এবং তাকে হত্যা করাে ।

৩৮। দাজ্জালের সময়কাল হবে চল্লিশ বছর ।

৩৯। তার একটি বছর হবে অর্ধ বছরের সমান । আরেক বছর হবে এক মাসের সমান এবং এক মাস হবে এক সপ্তাহের সমান ।

৪০। তার শেষ দিনগুলাে এমন ভয়াবহ হবে , যেমন অগ্নিস্ফুলিংগ বায়ুমণ্ডলে উড়ে বেড়ায় ।

৪১। তােমাদের কেউ মাদীনাহ্র এক ফটকে সকাল অতিবাহিত করলে অন্য ফটকে যেতে না যেতেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে ।

৪২। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলাে , হে আল্লাহর রাসূল ! এতে । ছােট দিনে আমরা কিভাবে সলাত আদায় করবাে ? তিনি বললেনঃ তােমরা অনুমান করে সলাতের সময় নির্ধারণ করে নিবে , যেমন তােমরা লম্বা দিনে অনুমান করে সলাতের সময় নির্ধারণ করে থাকো । আর এভাবে সলাত আদায় করবে ।

৪৩। ঈসা ইবনু মারইয়াম ( আ ) আমার উম্মতের একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক ও ইনসাফকারী ইমাম হবেন । তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন । শূকর হত্যা করবেন । জিযিয়া মওকুফ করবেন । সদাক্বাহ উসূল করা বন্ধ করবেন । বকরী ও উটের উপর যাকাত ধার্য বন্ধ হবে এবং লোেকদের মাঝে পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষের অবসান ঘটবে ।


৪৪। একজন ক্ষুদ্র মানব শিশু সিংহকে তাড়া করবে । সেও তার কোন ক্ষতি করবে না । নেকড়ে বাঘ বকরীর পালে এমনভাবে থাকবে যে , যেন সে তার ( রক্ষক ) কুকুর ।

৪৫। পৃথিবী শান্তিপূর্ণ হয়ে যাবে । যেমন পানিতে পাত্র পরিপূর্ণ হয় । তখন সকলের কালেমা এক হবে । আল্লাহ ছাড়া কারাের ইবাদাত করা হবে । যুদ্ধ – বিগ্রহ তার সরঞ্জাম রেখে দিবে । কুরাইশদের রাজত্বের অবসান হবে । যমীন রূপার তৈরি তশতরীর মত হয়ে যাবে । সে এমন ফসল উৎপন্ন করবে যেমন আদম ( আঃ ) এর যুগে উৎপন্ন হতাে । এমনকি কতিপয় লােক একটি আংগুরের খােসার মধ্যে একত্রিত হতে পারবে এবং তা সকলকে পরিতৃপ্ত করবে । লােকজন একটি ডালিমের জন্য একত্রিত হবে এবং তা সকলকে পরিতৃপ্ত করবে । তাদের বদল গরু হবে এই এই মুল্যের এবং ঘােড়া স্বল্প মূল্যে বিক্রি হবে ।

৪৬। তারা বললাে ঃ হে আল্লাহর রাসূল ! ঘােড়ার মূল্য কম হবে কেন ? তিনি বললেন ঃ কারণ যুদ্ধের জন্য কেউ অশ্বারােহী হবে না ।

৪৭। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলাে : গরুর মূল্য বেশি হবে কেন ? তিনি বললেন ঃ সমগ্র ভূখণ্ডে কৃষিকাজ সম্প্রসারিত হবে ।

৪৮। দাজ্জালের আবির্ভাবের তিন বছর পূর্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে । তখন মানুষ চরমভাবে ক্ষুধায় কষ্ট পাবে । প্রথম বছর মহান আল্লাহ আকাশকে তিন ভাগের একভাগ বৃষ্টি আটকে রাখার নির্দেশ দিবেন । আর যমীনকে নির্দেশ দিবেন , ফলে সে তিন ভাগের একভাগ ফসল উৎপন্ন করবে । অতঃপর তিনি আসমানকে দ্বিতীয় বছর একই নিদের্শ দিবেন । তখন তা দুই তৃতীয়াংশ বৃষ্টি বন্ধ রাখবে এবং যমীনকে নির্দেশ দিবেন , ফলে যমীন দুই তৃতীয়াংশ ফসল কম উৎপন্ন করবে । অতঃপর মহান আল্লাহ তৃতীয় বছর একই নির্দেশ দিবেন , তখন সে সম্পূর্ণরূপে বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দিবে । ফলে যমীনে কোন ঘাস জন্মাবে না , কোন সবজি অবশিষ্ট থাকবে না । বরং তা ধবংস হয়ে যাবে । তবে আল্লাহ যা চাইবেন । pdf books pdf books

Pdf books

tunetuni pdf download

googledrive থেকে pdf ডাউনলোড করুন—Download

বইটি google drive থেকে যেভাবে ডাউনলোড করবেন—Tutorial